এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি বাড়াচ্ছে কানাডা

বণিক বার্তা ডেস্ক

কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধন কেন্দ্রগুলোতে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি করে। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল পরিশোধন কার্যক্রম কমে যাওয়ায় এশিয়ার বাজারে বিক্রি বাড়াচ্ছে কানাডা। বছর বিক্রির পরিমাণ এক বছরের সর্বোচ্চে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি পণ্যের বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ভরটেক্সা সম্প্রতি তথ্য জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পরিশোধন কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। কারণে দেশটি থেকে ক্রয়াদেশ পাচ্ছে না কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো। ভরটেক্সা জানায়, এরই মধ্যে এশিয়ার ক্রেতাদের কাছে প্রায় ৭০ লাখ ব্যারেল হেভি-সাওয়ার গ্রেডের (যে তেলে ঘনত্ব সালফারের উপস্থিতি বেশি) জ্বালানি তেল বিক্রি করেছে কানাডা। ফেব্রুয়ারিতে এসব তেল সরবরাহ করা হবে।

চীন ভারতের শীর্ষ পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর কয়েকটি কানাডা থেকে অন্তত ৭০ লাখ ব্যারেল তেল কিনেছে। অন্যদিকে ইউরোপের বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে ১০ লাখ ব্যারেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জ্বালানি জায়ান্ট সিনোপ্যাকের বাণিজ্যিক ইউনিট ইউনিপ্যাক ৩০ লাখ ব্যারেল কানাডিয়ান অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে। অন্যদিকে পেট্রোচায়না ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ কিনেছে ২০ লাখ ব্যারেল করে।

মার্কিন গালফ কোস্ট থেকে লোডিংয়ের ক্ষেত্রে কানাডা কোল্ড লেক গ্রেডের জ্বালানি তেলের ওপর ব্যাপক মূল্যছাড় দিচ্ছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের বিপরীতে গ্রেডটি ব্যারেলপ্রতি ২২ ডলার কমে বিক্রি করছে কানাডা।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিশোধন কেন্দ্রগুলো মূলত কানাডিয়ান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলই ব্যবহার করে। কিন্তু এসব পরিশোধন কেন্দ্রে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সেসব তেল এশিয়ার বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে কানাডা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিবিএফ এনার্জির পরিশোধন কেন্দ্র চালমেট সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ডিজেল উৎপাদন ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে।

এছাড়া এখনো তুষারঝড়ের ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক পরিশোধন কেন্দ্র। তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে গালফ কোস্টের পরিশোধন কেন্দ্রগুলোয় দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল করে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার তুষারঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক প্রতিষ্ঠান মেরামতের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেরামত শেষ হতে দুই-তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধন সক্ষমতা কমে যাওয়া এবং অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে গ্যাসোলিনের বাজার। জ্বালানিটির দাম সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন