বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিআরডি) উদ্যোগে ‘জেন্ডার রেসপনসিভ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বগুড়ার মোমো ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় জেন্ডার গ্যাপ ইন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (জিজিআইএফআই) প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিআরডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. মোকলেসুর রহমান। নারীদের আর্থিক সেবায় অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বিআইবিএমের অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) এবং বিআইবিএম-সিআরডি প্রকল্পের স্টাডি টিম লিডার ড. শাহ্ মো. আহসান হাবীব বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে (ব্যাংক, বীমা) নারীদের একটি হিসাব থাকতে হবে। যেখানে নারীদের অন্যান্য আর্থিক সেবার পাশাপাশি ঋণ প্রয়োজন হলেও যাতে পেতে পারে।
বিআইবিএমের অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) এবং পরিচালক (ঢাকা স্কুল অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট) মো. নেহাল আহমেদ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সানজিদা আক্তার বলেন, জেন্ডার সমতা ও ন্যায্যতা প্রয়োজন। এ বিষয়টি খুব গভীরভাবে নীতিনির্ধারণী থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের মানুষকে বুঝতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা তার বক্তব্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীদের পিছিয়ে পড়ার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে যা দূর করার জন্য সম্মিলিত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। ওই অনুষ্ঠানে সিনিয়র ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিআইবিএমের অনুষদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। —বিজ্ঞপ্তি