গুলেন ব্যারি সিনড্রোম

চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফিজিওথেরাপি

বণিক বার্তা ডেস্ক

জিবিএসে আক্রান্ত হলে যেহেতু স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই চিকিৎসার একটি পর্যায়ে গিয়ে দরকার হয় ফিজিওথেরাপির। এর মাধ্যমেই বিপদ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারে রোগী। অর্থাৎ জিবিএস চিকিৎসার একটি বড় অংশ হলো ফিজিওথেরাপি।

এই ফিজিওথেরাপি যেমন শ্বাসযন্ত্রের ক্ষেত্রে কার্যকর তেমন শরীরের অন্যান্য অংশের মাংসপেশির জন্যও কার্যকর। জিবিএস কোনো সংক্রামক রোগ নয়। তবে সচেতনতা থাকলে রোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ।

প্রাথমিকভাবে যখন স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে তখন খুব দ্রুতই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে রোগী। পরে তা থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়। যদিও এভাবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ সময় লেগে যায়। প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পর ধীরে ধীরে রোগীর পেশিতে শক্তি ফিরে আসতে শুরু করে। সময় সঠিক ফিজিওথেরাপি পুনর্বাসন চিকিৎসা জরুরি এবং ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারেন একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।

জিবিএসে আক্রান্ত হওয়ার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে কখনো কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। মূল সংকট কেটে যাওয়ার পরে জিবিএসে আক্রান্ত রোগীর হাত-পায়ের শক্তি বাড়ানো স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে।

জিবিএসে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে রেখে দিনে তিন থেকে চারবার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিতে হয়। বিশেষ করে হাত পায়ের শক্তি বাড়ানোর জন্য ইলেকট্রিক্যাল সিমুলেশনের দরকার হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ব্যালান্স ট্রেনিং, স্ট্রেন্দেনিং ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন