রেমিট্যান্স বাড়ানোর লক্ষ্য

ব্যাংকের ওপর অভিবাসীদের আস্থা ফেরানোর তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের ১১ মাসে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রফতানি বাড়লেও কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যাংকের ওপর অভিবাসীদের আস্থা ফেরাতে হবে। এজন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২২: অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে রামরু। এতে বলা হয়, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে কাজে যোগ দিয়েছেন। গত বছর যা ছিল লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন। সে হিসেবে বছর জনশক্তি রফতানি বেড়েছে ৮১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে দশমিক ১৭ শতাংশ।

রামরু প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন . তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, বিদেশে লোক কম কিংবা বেশি যাওয়ার ওপর রেমিট্যান্স বৃদ্ধি নির্ভর করছে না। বৈধ পথে রেমিট্যান্স দেশে আনার জন্য প্রণোদনা বাড়াতে হবে। ট্যাক্স পলিসি বদলাতে হবে। তাদেরকে (অভিবাসী) ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান . কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিবাসীরা অন্য দেশে গিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করছে আবার দেশকেও সমৃদ্ধ করছে। আমরা কি তাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার করতে পেরেছি। ব্যাংকের ওপর আস্থা আনার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত। অভিবাসীদের জন্য প্রণোদনা বাড়াতে হবে। কত শতাংশ বাড়ালে তাদের জন্য ভালো হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করতে হবে।

অভিবাসীদের নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে রামরুর বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদনে ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হলো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে অভিবাসীদের ব্যাংকের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নেয়া, নবনির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর (টিটিসি) পরিচালনায় সরকারের এনজিওর সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজ করা, নিরাপদ অভিবাসন সুনিশ্চিত করতে তরুণদের সাহায্য নিয়ে অভিবাসন সম্পর্কিত মোবাইল অ্যাপগুলোর প্রয়োগে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা, গন্তব্য দেশে অভিবাসীদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কিছু মামলায় পুনরায় ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং বায়রাতে যে অভিযোগ সেল গঠন করা হয়েছে তা অতিদ্রুত সক্রিয় করে অভিবাসীদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি করা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন