গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। তদন্ত কমিটির সুপারিশে ইসির সিদ্ধান্তের আলোকে ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে এ ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর এ আসনে ভোট গ্রহণের মাঝপথে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ায় ভোট বন্ধ করে দিয়েছিল ইসি। ভোট চলাকালে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৫১টি কেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয়। পরে বাকি ৯৪ কেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কিনা, তা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি।
অনিয়মের ঘটনায় ১৩৪ জন নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করে কমিশন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন করে এ নির্বাচনে কেউ প্রার্থী হতে না পারলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। এবার মোট ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে। এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহীদ, বিকল্প ধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও নাহিদুজ্জামান।
গত ২৩ জুলাই ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।