সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর —প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।’ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি দিবসটি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরও প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। সে লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশ করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সে স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।’ 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য “জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা” সারা দেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আইনগত সহায়তা দিচ্ছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল” হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শসেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন