গাজীপুরে চাহিদার অর্ধেকও মিলছে না বিদ্যুৎ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, গাজীপুর

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

শিল্প এলাকা গাজীপুরে তীব্র গরমে কষ্ট বাড়াচ্ছে অব্যাহত লোডশেডিং। দিনে ও রাতের অধিকাংশ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ মিলছে না এখন। এজন্য লোডশেডিং বেড়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ এ অবস্থা চলতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, গাজীপুরে কয়েক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। আবাসিক গ্রাহকের সঙ্গে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসহ বাণিজ্যিক সংযোগও। গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২ এবং ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর চাহিদা রয়েছে ৪৫০ মেগাওয়াট, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর চাহিদা ১৩০ মেগাওয়াট ও ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর চাহিদা রয়েছে ৩৩০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সবচেয়ে কম সরবরাহ মিলছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ও গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এ। এখানে চাহিদার অর্ধেকও মিলছে না।

মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার আরিফ হোসেন বলেন, ‘শিল্প এলাকা হওয়ার পর এখন পুরো বিদ্যুৎনির্ভর এলাকার লোকজন। বিদ্যুৎ ছাড়া চলে না। অথচ কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব বিবেচনায় না নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দিচ্ছে। কষ্ট বাড়ছে শিল্প-কারখানার শ্রমিকদেরও। তারা সারা রাত কাজ করে দিনের বেলায় ঘুমাতে পারছে না।’

একই কথা বলেন গাজীপুর মহানগরের সালনা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ কখন আসে আবার কখন যায়, তা বলা যায় না। দিনের অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। এলাকা অনুযায়ী লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করে দেয়া প্রয়োজন, এতে অনেকের উপকার হবে।’

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার আকমল হোসেন বলেন, ‘গরমের তীব্রতায় এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন তো চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎও মিলছে না। এর ফলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহ পর সেচের বিদ্যুতের চাহিদা কমবে, তখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির আশা করা যায়। এখন গ্রাহকদের ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

চকপাড়া গ্রামের ওভেন ব্যাগ ফ্যাক্টরির এমডি ওয়াহিদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘দিনে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। এভাবে লোডশেডিং হলে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন