কনজাংটিভাইটিস : ঘরেই রয়েছে উপশমের উপায়

ফিচার ডেস্ক

কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই। তবে তার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া চিকিৎসায়ও মনোযোগ দিতে পারেন। তাহলে কিছুটা রেহাই পাবেন বাড়তি সমস্যার হাত থেকে। পেতে পারেন ব্যথা থেকেও মুক্তি। এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তেমনই সব ঘরোয়া প্রতিকারের পদ্ধতি।

ঠাণ্ডা ভাপ

চোখ ওঠার কারণে ব্যথা অনুভূত হলে চোখে ঠাণ্ডা ভাপ দিতে পারেন। এতে তীব্র ব্যথা থেকে তাত্ক্ষণিক আরামও পেতে পারেন। প্রথমে লিনেন কাপড়ের এক বা একাধিক ছোট টুকরা বরফ-ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর কাপড় থেকে বাড়তি পানি ঝরিয়ে চোখে ভাপ নিন। এর ফলে চোখের মধ্যে প্রবেশ করা রাসায়নিক পদার্থের কারণে চুলকানি এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য হতে পারে। কমপক্ষে থেকে ১০ মিনিট ধরে এটি বেশ কয়েকবার করা যেতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে দুটি চোখের জন্য আলাদা আলাদা কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করাই ভালো।

লবণের দ্রবণ

স্যালাইন দ্রবণ দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। এই দ্রবণে থাকে সাধারণ লবণ, যা চোখের জ্বালা কমাতে সক্ষম। তবে কখনোই গরম স্যালাইন দ্রবণ ব্যবহার করবেন না। এতে চোখের ভালোর চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি হয়ে যেতে পারে।

গোলাপজলের ব্যবহার

গোলাপজলে প্রদাহ প্রতিরোধী এবং প্রশান্তিদায়ক কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভাইরাসে সংক্রমিত চোখে প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা গোলাপজল চোখের অ্যালার্জি নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। গোলাপজলে ডুবিয়ে তুলোর বলও চোখের ওপর রেখে দিতে পারেন। তাহলে চোখের অস্বস্তি কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হবে।

কাজে লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালোইন এবং ইমোডিনের মতো যৌগ, যেগুলোর রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। কারণে অ্যালোভেরা জেল চোখের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। অ্যালোভেরা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে এবং ধূলিকণার কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জির বিরুদ্ধে নিরাময় প্রক্রিয়াকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করে। সংক্রমিত চোখের চারপাশে অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করলে কিছুটা উপকার পেতে পারেন।

হলুদ জলের উষ্ণ ভাপ

হলুদের গুঁড়াকে বিভিন্ন প্রদাহের প্রাকৃতিক প্রতিষেধক বলা হয়। এই গুঁড়ার বেশ কিছু নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার একটি চোখের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে কার্যকারিতা। হলুদ চোখের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা চোখের অন্যান্য যাবতীয় সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। সিদ্ধ হলুদ জলের মধ্যে এক টুকরো তুলা বা কাপড় ভিজিয়ে তার উষ্ণ ভাপ ক্ষতিগ্রস্ত চোখে দিলে অনেক উপকার পেতে পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন