উচ্চ কোলেস্টেরল এড়াতে নজর রাখতে হবে খাবারের তালিকার দিকে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু খাবার যেমন প্লেটে যুক্ত করতে হবে তেমনই বাদ দিতেও হবে বেশকিছু। তাহলে ঝুঁকি কমানো যাবে অনেকাংশেই।
অস্ট্রেলিয়ার বেটার হেলথ চ্যানেল বলছে, আমরা যাই খাই তারই একটা প্রভাব রয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর। তাই সেটা নিয়ন্ত্রণ এ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এ সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে খেতে হবে প্রচুর ফল, সবজি ও হোলগ্রেইন খাবার। স্বাস্থ্যকর প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ বা সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, বীজ, ডাল এবং মটরশুঁটি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেলে এ সমস্যা এড়ানো যাবে। এ তালিকায় অল্প পরিমাণ ডিম যুক্ত করতে পারেন। আর যদি রেডমিট খেতে চান তাহলে নিশ্চিত করুন যেন সেটা চর্বিবিহীন হয় আর সপ্তাহে এক থেকে তিনবারের বেশি যেন না হয়। বেছে নিতে পারেন ফ্লেভারবিহীন দুধ, দই এবং পনিরের মতো কম ফ্যাটযুক্ত খাবারও। লবণের বদলে খাবারে যুক্ত করুন বিভিন্ন হার্বস ও মসলা। তেলের ক্ষেত্রেও বাদাম বা বীজের তেল বেশি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের তথ্য বলছে, কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো যাবে। এই তালিকায় রয়েছে ওটস। সকালটা ওটসের সঙ্গে শুরু হলে নিজের কোলেস্টেরল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। ঝুঁকতে পারেন বার্লি বা অন্য কোনো হোলগ্রেইন খাবারের দিকেও। মটরশুঁটিও এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভালো সাহায্য করে। নিয়ম করে খাবারের প্লেটে রাখুন বেগুন বা ঢেঁড়সের মতো সবজি। বাদামও এখানে ভালো কাজে লাগতে পারে। খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন উদ্ভিজ্জ তেল। আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি ও টকজাতীয় ফলও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। সয়াবিন বা সয়াবিনের তৈরি খাবার যেমন টোফু বা সয়ামিল্কের ওপর নির্ভর করতে পারেন। প্রতিদিন মাত্র ২৫ গ্রাম সয়া প্রোটিন খেলে ৫ থেকে ৬ শতাংশ এলডিএল কমানো সম্ভব।