কিডনি প্রতিস্থাপনে চিকিৎসা পরবর্তী ব্যয় কম

ফিচার ডেস্ক

কিডনি বিকল হওয়া রোগীদের সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপন পদ্ধতি। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে শুধু শরীরের বর্জ্য বের করে আনতে সক্ষম হয়। আর প্রতিস্থাপন হলে তার সার্বিক ব্যবস্থাই প্রতিস্থাপিত হয়। এতে চিকিৎসা-পরবর্তী ব্যয় অনেক কমে যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ পঞ্চম ধাপে এলে কিংবা দুটি কিডনির ৮৫ শতাংশর বেশি অকেজো হয়ে গেলে প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। যেকোনো বয়সী রোগীদের এটি করা গেলেও দেশের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিস্থাপন করতে বেশি পছন্দ করেন। যদিও উন্নত বিশ্বে ৭০-৮০ বছর বয়সী রোগীদেরও করা হয়।

ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, কিডনি বিকল হওয়া রোগীদের সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপন। কারণ ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে শুধু শরীরের বর্জ্য বের করে আনা সম্ভব হয়। আর প্রতিস্থাপন হলে তার সার্বিক ব্যবস্থাই প্রতিস্থাপন হয়। এতে চিকিৎসা পরবর্তী ব্যয় কমে যায়। সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের পর রোগীর প্রথম ছয় মাসে সর্বোচ্চ গড়ে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এটি পরে আস্তে আস্তে কমে এসে হাজার টাকায় নেমে আসে। আর ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে বছরে থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়।

দেশে প্রতি বছর ৩০-৪০ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে প্রতিস্থাপন করাতে পারছে মাত্র - শতাংশ মানুষ। তবে বিএসএমএমইউতে প্রতিস্থাপনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে বেসরকারি হাসপাতালে মানভেদে - লাখ টাকা ব্যয় হয় রোগীদের।

সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন বাংলাদেশের (এসওটি), বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পর্যন্ত সারা দেশে ১০টি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে আড়াই হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে হয়েছে ৬৩০টি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন