কখন সার্জারি করাতে হবে?

ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা মূলত চার ধরনের। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি টার্গেটেডথেরাপি। এসব পদ্ধতি মূলত রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুসফুস ক্যান্সার নির্মূলে সার্জারি সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা। 

বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, টিউমারটি ফুসফুসের কোন স্থানে রয়েছে সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় খুব বড় আকারের টিউমার অপসারণ করা যায়। আবার কোনো কোনো সময় খুব ছোট টিউমারও অপসারণ করা যায় না। দেখা যায় এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে। অর্থাৎ ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পরই দেখতে হবে এটি সার্জারি করার উপযুক্ত কিনা। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে (প্রথম ভাগ) ক্যান্সার শনাক্ত হলেও সার্জারি করার সুযোগ রয়েছে।

ফুসফুসের ক্যান্সার তিন ধরনের হয়। নন স্মল সেল টাইপ, স্মল সেল টাইপ কার্সিনয়েড। ডা. কামরুল আলম বলেন, স্মল সেল টাইপ ক্যান্সারটি সবচেয়ে ভয়ংকর। এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ২০ শতাংশ মানুষ ধরনটিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটির চিকিৎসা হলো কেমোথেরাপি। সার্জারি করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, কারো ফুসফুসের এক পাশের ক্যান্সার আরেক পাশে ছড়িয়ে গেলে সার্জারি করার সুযোগ নেই। ফুসফুস ছাড়াও ক্যান্সার যদি হাড়, মেরুদণ্ড, লিভার, মস্তিষ্কে ছড়িয়ে যায় তাহলেও এটিকে সার্জারির মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন