শ্রীলংকায় বিক্ষোভ চলছে

সরকারে যোগ দিতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অস্বীকৃতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

শ্রীলংকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ শেষে নতুন সরকার গঠনে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। তবে তাতেও নিভছে না ক্ষোভের আগুন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেয়ার পরও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন সরকারে যোগ দিতে অস্বীকৃতি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পদত্যাগ করতে হবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে। খবর আল জাজিরা ও ডেইলি মিরর। 

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীংলকায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগেও প্রবল অর্থনৈতিক সংকটে পড়া দেশটির চলমান বিক্ষোভ থামেনি। তারা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহখানেক আগে সহিংসতায় নয় জনের মৃত্যু এবং তিন শতাধিক ব্যক্তির আহতের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বিরোধীদলীয় বর্ষীয়ান নেতা রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ দেন। সহিংসতা বেড়ে গেলে প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে ৯ মে প্রধানমন্ত্রীর পদ হতে ইস্তফা দেন এবং সেনা পাহারায় সপরিবারে নৌ ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। গোতাবায়া প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এ যাবতকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়লে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দানা বাঁধে। 

শত শত মানুষ এখনও কলম্বো সিটিতে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের অফিসের সামনে স্থাপিত বিক্ষোভ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এখানে গত এক মাস ধরে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে চলছে ক্যাম্পেইন। এখানে অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারীদের একজন চামালগে শিবকুমার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই লড়াই তখনই বন্ধ করব যখন আমাদের জনগন সুবিচার পাবে।  

এদিকে ১০টি স্বাধীন দল সরকারের অংশ হতে কিংবা কোনো দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ফ্রিডম ফ্রন্ট নেতা উইমাল বিমাওয়ানসা জানিয়েছেন, তারা নতুন সরকারের অংশ হবে না। সরকারের ভালো কাজ সমর্থন দেবেন। বিরোধী হিসাবে তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তবে রনিল বিক্রমাসিংহে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হবেন বলে তিনি মনে করেন না। একই কথা জানিয়েছে, শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টিও। এর আগে নতুন সরকারের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায় সাজিথ প্রেমাদাসার দল এসজেবি। 

এদিকে চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এজন্য আইজিপির নির্দেশনা অনুসারে প্রতি সংসদ সদস্যের জন্য একজন সাব ইন্সপেক্টরসহ মোট ৬জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন