শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে নগদ লভ্যাংশ বিতরণ আট কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের আট কোম্পানি ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের অনুমোদিত নগদ লভ্যাংশ সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করেছে। কোম্পানিগুলো হলো বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড, এসএস স্টিল লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড, গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

বিডি থাই: ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ২৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১১ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৭ টাকা ৬০ পয়সা।

খুলনা পাওয়ার: সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কেপিসিএল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে ইপিএস ছিল টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২২ টাকা পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কেপিসিএল।

গোল্ডেন হারভেস্ট: সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য শতাংশ নগদ ( শতাংশ অন্তর্বর্তী শতাংশ চূড়ান্ত) লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে ইপিএস ছিল পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ১৯ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা পয়সা।

অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ: সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ৫২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৬৪ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৯৮ পয়সা।

মোজাফফর হোসেন স্পিনিং: ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল টাকা ১৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮ টাকা ১৬ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

এসএস স্টিল: ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ সব শেয়ারহোল্ডারকে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয়া রয়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে টাকা ৩১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে এককভাবে যা ছিল টাকা ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে পুনর্মূল্যায়নসহ কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৮ পয়সায়। পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২০ টাকা ৯৫ পয়সা।

২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ সব ধরনের শেয়ারহোল্ডারকে শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল এসএস স্টিল।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং: ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা পেয়েছেন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আর সব ধরনের শেয়ারহোল্ডার পেয়েছেন শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ১৭ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১২ টাকা ২৮ পয়সা।

বিকন ফার্মা: সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৭৪ পয়সা। যেখানে আগের বছরে ইপিএস ছিল টাকা ৬৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৩ টাকা ১৮ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২০ টাকা পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন