চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় শ্রীলঙ্কার সরকার যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে, তার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সংসদ। যেকোনো উপায়ে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মজুদ রোধে অগ্রাধিকার দিয়ে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গত ৩০ আগস্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। যদিও, দেশটির বিরোধীদল চলমান জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আজ (সোমবার) শ্রীলঙ্কার সংসদ জরুরি অবস্থার অনুমোদন দিয়েছে। তবে, সরকারের সমালোচনা ঠেকাতে জরুরি অবস্থা বিধির অপব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা বিরোধীদলের । সরকারের পক্ষ থেকে সে আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শ্রীলঙ্কায় চিনি, গুঁড়া দুধ ও রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকারের দাবি, মজুদকারীরা কৃত্রিমভাবে এ ঘাটতি তৈরি করেছে। এ ছাড়া ব্যাপক ঋণ পরিশোধের কারণে পর্যটন ও রপ্তানি হ্রাসের কারণে দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট হচ্ছে। এ অবস্থায় অন্যান্য আইন কাজ না করায় জরুরি অবস্থা জারির কথা চিন্তা করেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা।
শ্রীলঙ্কার সংসদে সদস্য সংখ্যা ২২৫। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য রয়েছেন ১৫০ জন। সংসদে কোনো আইন পেশ করা হলে সেটি ১৪ দিনের মধ্যে অনুমোদিত হয়। জরুরি অবস্থার জন্য ভোট হলে সেখানে পক্ষে মত দেন ১৩২ জন। ৫১ জন বিপক্ষে ছিলেন।