২৪১ জনের মৃত্যু শনাক্ত ছাড়াল ১৩ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমিত হয়ে একদিনে দেশে আরো ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) নতুন করে ১৩ হাজার ৮১৭ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে গত সাতদিনেই এক লাখ মানুষের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়। দেশে এর আগে এত কম সময়ে এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৭০৫টি পরীক্ষাগারে ৪৯ হাজার ৫০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর বিপরীতে ১৩ হাজার ৮১৭ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এতে শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ লাখ হাজার ৯১০। একই সময়ে ২৪১ জন করোনা রোগী মারা যাওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৩৮। পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গতকাল আরো ১৬ হাজার ১১২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে। ফলে মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪১ হাজার ১৫৭। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ১২ শতাংশ। আর মৃত্যুহার দশমিক ৬৫ শতাংশ।

সর্বশেষ শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা বিভাগে। এদিন ঢাকা বিভাগে মোট হাজার ৭১৪ জন, ময়মনসিংহে ৫৩২, চট্টগ্রামে হাজার ৯৬, রাজশাহীতে ৬৮৫, রংপুরে ৫৫৭, খুলনায় ৭৪৫, বরিশালে ৭৭৩ এবং সিলেট বিভাগে ৭১৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গত বছরের মার্চ প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর সে বছরের ১৮ জুন মোট রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়। এক মাসের ব্যবধানে ১৮ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ায়। এরপর ২৬ আগস্ট তিন লাখ, ২৬ অক্টোবর চার লাখ, ২০ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ, চলতি বছরের ২৯ মার্চ ছয় লাখের ঘর ছাড়ায়। পরে সংক্রমণ দ্রুত বাড়লে ১৪ এপ্রিল সাত লাখ, ৩১ মে আট লাখ, ২৯ জুন করোনা রোগীর সংখ্যা নয় লাখে দাঁড়ায়। নয়দিন পর ১৮ জুলাই ১১ লাখ ২৮ জুলাই ১২ লাখে দাঁড়ায়। একই দিন দেশে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র সাতদিনে আরো এক লাখ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ায় দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ অতিক্রম করে।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বর্তমানে খুবই উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। গত তিন মাসের মতো সময়ে করোনার ডেল্টা ধরনের (ভারতে উত্পত্তি) দাপটে দৈনিক সংক্রমণ মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গত মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। কিন্তু ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিধিনিষেধ আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলছে। আগস্ট বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে পাঁচদিন বাড়িয়ে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত রোববার থেকে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা চালু হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন