নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ ও ঋণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেরি বেগম নামের এক নারী ব্যবসায়ী।
গতকাল দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বটতলা বাজারে মা-মেরি ব্যাগ ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী মেরি বেগম এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় মেরি বেগমের ছেলে মিলন ফকির ও তার ছেলে মিরাজ ফকির উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করি।
ব্যবসা ভালো হওয়ায় দুই বছরেই তাদের ঋণ শোধ করে দিই।
পরে ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাসে ৪২ লাখ টাকায় মেশিন ক্রয়ের চুক্তি করি।
কিন্তু ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড মেশিন ক্রয়ের জন্য আমাকে মাত্র ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়।
তিন মাস পর আবারো কাঁচামালের জন্য ২৫ লাখ টাকা দেয়ার অঙ্গীকার করেন তারা।
মেশিন ও আনুষঙ্গিক মালামালের জন্য আমার ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে যায়।
কাঁচামালের জন্য অবশিষ্ট কোনো টাকা না থাকায় ফ্যাক্টরি পুরোদমে চালু করতে পারিনি।
বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে।
ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করেই আমি ৪২ লাখ টাকা দিয়ে মেশিন ক্রয় করেছি।
তা না হলে আমি কখনো এত বড় মেশিন ক্রয় করতাম না।
ফ্যাক্টরি চালু করতে না পারলেও তাদের ঋণের আশায় আমি ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ মাসে ১০টি কিস্তিতে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সকে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেছি।
এখন আমি নিঃস্ব, আমার ফ্যাক্টরির ২২ জন শ্রমিক না খেয়ে মরছে।
ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঋণের জন্য একের পর এক চাপ দিচ্ছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে ২ জুন ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ফিল্ড অফিসার জইফ হাসান আমার বাড়িতে আসেন।
আমাকে ঋণ দেয়ার কথা বলে আমার ব্লাঙ্ক অফিশিয়াল প্যাড ও তাদের অফিসের কিছু কাগজপত্রে আমার স্বাক্ষর নেন।
পরবর্তী সময়ে আমি জইফ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সব কথা অস্বীকার করেন।
ফ্যাক্টরি চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন এ নারী উদ্যোক্তা।
এ বিষয়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ফিল্ড অফিসার জইফ হাসানের মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।