এজিএমের ভেন্যু ঘোষণা মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ভেন্যু জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স: ২৮ এপ্রিল বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানিটির ৩৬তম এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। https://tinyurl.com/uiclagm2021 এই ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এতে অংশ নেয়া যাবে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৯৫ পয়সা। হিসাবে কোম্পানিটির বার্ষিক ইপিএস বেড়েছে দশমিক ৬২ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩১ টাকা ৮৭ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে দশমিক শূন্য শতাংশ নগদ দশমিক ৯৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৭ হিসাব বছরে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৬ হিসাব বছরের জন্যও একই হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ৪৪ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।

১৯৯০ সালে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৯৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪২ দশমিক ৯৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক: ২৮ এপ্রিল ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যাংকটির ২২তম এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। https://mbl.bdvirtualagm.com এই ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এতে অংশ নেয়া যাবে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ বাকি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে টাকা ২৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে একই সময়ে যেখানে ইপিএস ছিল টাকা ২৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ টাকা ৩৪ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এর মধ্যে ১১ শতাংশ নগদ বাকি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরে ১৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার মার্কেন্টাইল ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হাজার ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৮৪ কোটি লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২১৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৮৯, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন