ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে কুখ্যাত গাঙচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তার দুই সহযোগী আকিদুল ও আসাদকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আমিনবাজারের সালেহপুর থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব বলছে, সাভার থানার এসআই হত্যা, দুই র্যাব সদস্যকে হত্যা ও পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্র লুটসহ একাধিক খুন, অস্ত্র, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি সালাউদ্দিন।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক জানান, ২০০০ সাল থেকে সাভার আমিনবাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাঙচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেয়া হয় গাঙচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকায় আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ বাহিনী মূলত আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল।
র্যাব জানায়, গাঙচিল বাহিনী ২০০২ সালে সাভার থানার একজন এসআইকে হত্যা, ২০০৭ সালে দু’জন র্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিনবাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুটের সঙ্গে জড়িত ছিল। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিনবাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো। এছাড়া এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাঙচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করতো। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ।