দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলার ৭৫তম বর্ষপূর্তি পূরণ হলো গতকাল।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমা শহরের ওপর ইউরেনিয়াম বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে কমপক্ষে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যান।
এর তিনদিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এরও দুই সপ্তাহ পর জাপানের আত্মসমর্পণে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
খবর বিবিসি।
প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলার সেই বার্ষিকীতে হতাহতদের স্মরণ করছে জাপান।
দিনের শুরুতে হিরোশিমা শহরের পিস পার্কে হিরোশিমা বোমা হামলা থেকে বেঁচে থাকা মানুষ ও তাদের উত্তরসূরিদের সঙ্গে যোগ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও শহরের মেয়র।
এ বার্ষিকীতে প্রতি বছর ওই পার্ক হাজার হাজার মানুষে সয়লাব থাকে।
কিন্তু এ বছর নভেল করোনাভাইরাসের কারণে উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমিয়ে আনা হয়েছে।
চেয়ার দেয়া হয়েছে দূরে দূরে।
বেশির ভাগ উপস্থিত ব্যক্তিকে পরতে হয়েছে মাস্ক।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পালন করা হয় নীরবতা।
ঠিক এ সময়ে ওই শহরের ওপর প্রথম বোমা ফেলা হয়েছিল।
হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই বলেছেন, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট একটি মাত্র পারমাণবিক বোমা আমাদের শহরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
ওই সময় একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল।
বলা হয়েছিল, এখানে পরবর্তী ৭৫ বছরে আর কোনো ফসল বা গাছপালা জন্মাবে না।
কিন্তু হিরোশিমা তার ক্ষত কাটিয়ে উঠেছে।
শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
আজকের এ দিন উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস।
সব দেশের প্রতি এমন সব মারণাস্ত্র নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন করে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গুতেরেস আরো বলেন, বিভক্তি, অনাস্থা ও আলোচনার অভাব—এসবই বিশ্বে ফিরে এসেছে।
এর ফলে পারমাণবিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পারমাণবিক ঝুঁকি থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূল করতে হবে।
