হিমালয়ের বিরোধপূর্ণ উপত্যকা থেকে তাঁবু ও অন্যান্য কাঠামো সরিয়ে নিচ্ছে চীনা সেনারা।
সোমবার ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
গত মাসে এ অঞ্চলেই চীনা ও ভারতীয় সেনারা এক রক্তাক্ত লড়াইয়ে লিপ্ত হয়।
খবর এএফপি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে কয়েকটি প্যাট্রোলিং পয়েন্ট থেকে উভয় দেশই সেনাদের পিছু হটিয়ে নিচ্ছে।
তবে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে দুই দেশের সেনাই কিছুটা পিছিয়েছে।
একই প্রক্রিয়া হট স্প্রিং এরিয়াতেও প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ ও ১৭-এ-তে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, ‘রোববার রাত থেকেই গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষার জন্য যে স্থাপনা তৈরি করেছিল চীনা সেনাবাহিনী, তা সরানো হয়েছে।
আপাতত পুরো এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে।
চীনা সেনাদের সরিয়ে নিতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় আনা হয়েছে।
এর পরই উভয় পক্ষের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।’
সূত্র আরো জানায়, পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো চলমান এবং উভয় পক্ষের কতজন সেনা সরানো হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ভারত-চীন সেনা পর্যায়ের বৈঠকে পিপি-১৪ থেকে সেনা সরানোয় সম্মতি জানায় দুই দেশ।
তবে সবদিক যাচাই করেই বলা সম্ভব এ খবর কতটা নিশ্চিত।
গালওয়ানের প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-তে জোর করে চীনা সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ ভারতের।
তারা বেশকিছু স্থাপনাও গড়ে তোলে, যা ভারতীয় সেনারা ভাঙতে গেলে উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
১৫ জুন গালওয়ানের প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-এর কাছেই চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়।
তারপর থেকেই প্যাট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-তে ঘাঁটি করে চীনা বাহিনী।
এ সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘমেয়াদি, তা জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এ সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘমেয়াদি, তা জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিরাপত্তাবিষয়ক ভারতীয় এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনা সরানোর কাজ বাস্তবে কতটা হলো তা খতিয়ে দেখতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ন্ত্রণরেখার বেশকিছু পয়েন্টে যাবে।
আগামীকালই সম্পূর্ণ রিপোর্ট মিলবে।
তবে গালওয়ানে চীনা সেনাদের প্রত্যাহার ও স্থাপনা ধ্বংসের কয়েকটি প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত তিনদিন ধরেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি নজরে পড়ৃেছ।
বিরূপ প্রকৃতির কারণে গালওয়ান নদীর পানি বাড়ছে।
এজন্যও এ প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।’