ইন্টারন্যাশনাল
লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অর্থ পাচারের ঘটনায় এনআরবি
গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও
পাসপোর্ট জব্দে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ গতকাল
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের এ-সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
আদালতে
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে
ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড
ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
এর
আগে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ জানুয়ারি পিকে
হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দেন। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে
তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল
সার্ভিসেস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের
সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের বিপরীতে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অবস্থা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে কোম্পানির স্বাধীন চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত) খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন এক কর্মকর্তাকে ডেকেছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার তারা আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে মতামত দেন। এরপর আদালত আদেশের জন্য গতকালের দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্ট
পিকে হালদার ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তারা হলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম,
এমএ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী,
মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নূরুজ্জামান,
আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী
সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পিকে হালদারের
বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।
পিকে
হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা
লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।