স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকুন জিমে

ফিচার ডেস্ক

দেহের ফিটনেস ঠিক রাখতে অনেকেই ছুটে যান জিমনেশিয়ামে সবার বাড়িতে হয়তো ব্যক্তিগত জিম ঘর থাকে না তাই ফিটনেস রক্ষায় যেতে হয় পাবলিক জিমনেশিয়ামে কিন্তু এসব জিমনেশিয়াম স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কতটুকু নির্ভরযোগ্য? পাবলিক জিমনেশিয়ামে অনেক মানুষের আনাগোনা থাকে কাজেই এখানে ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের আশঙ্কাও বেশি যারা প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহে একদিন হলেও এসব জিমনেশিয়ামে যান, তাদের অবশ্যই ফিটনেসের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার

সম্প্রতি এক হাজার জিমনেশিয়ামের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে সমীক্ষায় বলা হয়, জিমনেশিয়ামের বাথরুম ব্যবহারের পর অনেকেই ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করেন না এবং অবস্থাতেই তারা ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা বলছেন, জিমনেশিয়াম অবশ্যই সুরক্ষিত হওয়া উচিত কারণ এখানে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে

কিন্তু তার মানে এই নয় যে জিমনেশিয়ামে যাওয়া ছেড়ে দেবেন জিমে যাওয়ার পর কিছু কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা জিমে যাওয়ার পর ব্যায়ামের প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলোর ওপরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল স্প্রে ব্যবহার করতে হবে সেটা সম্ভব না হলে তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে তারপর ব্যবহার করুন খালি হাতে এসব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করার পর মুখে হাত না দেয়াই ভালো এতে ত্বকে ইনফেকশনের ভয় থাকবে না

এসব পাবলিক জিমে অনেক মানুষ যায় তাদের মধ্যে যদি কোনো ব্যক্তির ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা হয়, হাঁচি-কাশি দেয়, তাহলে সে ব্যক্তির আশপাশে না থাকাই ভালো তার ব্যবহূত জিনিসে হাত দেয়ার পর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে ভাইরাস আক্রান্তের আশঙ্কা কম থাকবে সবচেয়ে ভালো হয় তার থেকে দূরে অন্য রুমে অন্য জিনিসপত্র ব্যবহার করা


জিমে গিয়ে পাবলিক কাপ বা গ্লাসে চা-পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে যদি দেখেন এসব কাপ-গ্লাস নোংরা মনে হচ্ছে, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করে তারপর খাবেন বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি আপনি সবসময় নিজের সঙ্গে একটি কাপ বা গ্লাস রাখেন চিকিৎসকদের মতে, সবসময় যে সরাসরি হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগ-জীবাণু ছড়ায় তা নয় একে অন্যের ব্যবহূত জিনিসপত্রের মাধ্যমেও ছড়িয়ে থাকে

জিমনেশিয়ামে ছত্রাক সংক্রমণের ভয়ও রয়েছে এজন্য সেখানে খালি পায়ে হাঁটা উচিত নয় ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে জুতা পরে হাঁটাচলা করতে হবে আবার সর্বক্ষণ জুতা পরে থাকলে পায়ে আলো-বাতাস পৌঁছবে না মাঝে মাঝে জুতা খুলে স্নিগ্ধ বাতাস লাগাতে হবে জিমের জন্য ব্যবহূত জুতা নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিবর্তন করা দরকার

ব্যায়াম শেষে ঝটপট সেখানে সাবান দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন এতে ফ্রেশ লাগবে আর জীবাণুও দূরে চলে যাবে গোসল না করলে অন্তত হাত-মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন জিমের জন্য ব্যবহূত পোশাক ধুয়ে ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে জিমনেশিয়ামের লকারগুলোও স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা নিরাপদ নয় এগুলো স্পর্শ করার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে

প্রতিদিন জিমে যাওয়ার সময় কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন যেমন জুতা পায়ে দেয়া, নিজের তোয়ালা, ম্যাট নিয়ে যাওয়া ব্যবহারের আগে পরে যন্ত্রপাতি মুছে রাখা এসব কৌশল অবলম্বন করে জিমে গিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ব্যায়াম করতে পারবেন

 

সূত্র: হেলথলাইন


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন