চলতি বছর মন্থর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আইএমএফের

বণিক বার্তা ডেস্ক

ঘুরে দাঁড়ানোর আগে তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ধরনের কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া বাণিজ্য উত্তেজনা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যন্ত একাধিক ঝুঁকি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। খবর রয়টার্স।

ভারতসহ অন্য উদীয়মান বাজারগুলোর প্রত্যাশার চেয়ে তীব্র মন্দার কারণে চলতি আগামী বছরের জন্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি তলানিতে পৌঁছে যাওয়া কার্যক্রমে আশাবাদের সঞ্চার করলেও এর কোনো প্রভাব দেখতে পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

রফতানি বিনিয়োগের ওপর বাণিজ্যযুদ্ধগুলোর প্রভাবের মধ্যে গত বছর বিশ্ব অর্থনীতি দশমিক শতাংশ সম্প্রসারণ হয়, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে মন্থর বৃদ্ধি। যদিও বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রায় একই তালে মুদ্রানীতি শিথিলের পদক্ষেপ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে শতাংশীয় পয়েন্টের অর্ধেক যুক্ত করেছে।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে জর্জিয়েভা বলেন, আমরা এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর সন্ধিক্ষণে পৌঁছাইনি। বাস্তবতা হলো বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি এখনো মন্থরই রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নতুন বছরের প্রথম কয়েক সপ্তাহেই আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে দেখেছি। জলবায়ু পরিবর্তন কী ধরনের নাটকীয় প্রভাব ফেলতে পারে, আমরা তাও প্রত্যক্ষ করেছি। অস্ট্রেলিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে আমরা এগুলো দেখেছি।

পরিস্থিতিতে চলতি বছর দশমিক শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে বলে মুহূর্তে মনে করছে আইএমএফ, যা গত অক্টোবরে দেয়া দশমিক শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম। এছাড়া আগামী বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাসও দশমিক শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শতাংশ করেছে সংস্থাটি।

পূর্বাভাসের পরিবর্তন বেশকিছু সংখ্যক প্রধান উদীয়মান বাজারের, বিশেষত ভারতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আইএমএফের পুনর্মূল্যায়নের প্রতিফলন। বাজারগুলোয় ব্যাংকবহির্ভূত খাতের চাপ ঋণ সংকোচনের কারণে স্থানীয় চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে তীব্রভাবে মন্থর হয়ে পড়েছে।

এছাড়া সামাজিক অস্থিরতার জন্য চিলির বিনিয়োগে অব্যাহত দুর্বলতার জন্য মেক্সিকোর প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমানোর কথা জানিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক তহবিলটি জানায়, গত বছর বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব রাখার পর যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাম্প্রতিক বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতি বাজার মনোভাব শক্তিশালী করেছে।

আইএমএফের সতর্কতামূলক পূর্বাভাসে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা আরো বৃদ্ধির কোনো আভাস দেয়া হয়নি। তবে জর্জিয়েভা সতর্ক করে বলেন, সমস্যার মূলোৎপাটন এখনো করা যায়নি। বাণিজ্য উত্তেজনার পেছনের কারণ বাণিজ্য ব্যবস্থা সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বহাল রয়েছে।

চলতি বছরের জন্য চীনের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস অক্টোবরের চেয়ে দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে শতাংশ করেছে আইএমএফ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে শতাংশ করেছে। এছাড়া ইউরো অঞ্চলেরও প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে চলতি বছরের জন্য দশমিক শতাংশ করা হয়েছে। এর বাইরে ভারতের পূর্বাভাস দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে দশমিক শতাংশ করেছে আইএমএফ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন