জয়ের ভিতটা প্রথম দিনই গড়ে দিয়েছিল
পেসাররা; বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তৃতীয় দিন স্বল্প সময়ে সেটুকুও সম্পন্ন
হলো। ভারত পেল টানা সপ্তম জয়। ইন্দোরের মতো ইডেনেও ন্যূনতম লড়াইটুকু করতে পারেনি
বাংলাদেশ। ম্যাচে হার ইনিংস ও ৪৬ রানে।
ইনিংস হারে দুই টেস্টেই অসহায়
আত্মসমর্পণ করে মুমিনুল বাহিনী। ভারতের জয়ে নেতৃত্ব দেন পেসাররা। তাদের নৈপুণ্যে
ব্যাটসম্যানদের তেমন কোনো পরীক্ষাই দিতে হয়নি। ইশান্ত শর্মা, উমেশ
যাদব ও মোহাম্মদ শামি মিলে গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ১৯
উইকেটের সবগুলো পান পেসাররা। উইকেট না পেলেও বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের
চাপে রাখেন স্পিনাররা। তাই ম্যাচ শেষে বিরাট প্রশংসায় ভাসান বোলারদের।
‘যেভাবে ছেলেরা বল করেছে,
তারা যেকোনো জায়গায় উইকেট নিতে সক্ষম। এমনকি
স্পিনাররাও এখন বিদেশেও উইকেট নিতে পারে’—ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পর বলছিলেন কোহলি। ম্যাচ জিতে কোহলির প্রশংসা
বৃষ্টি ঝরল সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্যও। সৌরভের উদ্যোগেই প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে
টেস্ট খেলল ভারত। সেই ম্যাচে বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতিকে একেবারেই নিরাশ করেননি
কোহলিরা।
ভারতের ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থার
জন্য সৌরভের কৃতিত্বকে স্মরণ করলেন কোহলি,
‘টেস্ট ক্রিকেট হলো মানসিকতা দেখানোর জায়গা। আমরা
এখন দাঁড়াতে শিখেছি। এটা শুরু হয়েছিল দাদার
(সৌরভ)
দলকে দিয়ে। বিশ্বাসটাই হচ্ছে আসল। সত্য কথা
হচ্ছে, আমরা অনেক পরিশ্রম করছি। তার ফলও পাচ্ছি।’
বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় কোচ রবি
শাস্ত্রী বলেন, ‘তারা নিজেদের দেশে শক্তিশালী দল। কিন্তু বিদেশের মাটিতে তাদের ভালো করা
শিখতে হবে। বিদেশের মাটিতে তাদের পেসারদের আরো ভালো করতে হবে। সেটি করতে পারলে
বাংলাদেশ আরো ভালো লড়াই করতে পারবে।’