আজ ৩ নভেম্বর; জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির আজীবন রাজনৈতিক সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, সমগ্র
বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। কারণ কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের
বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
জাতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য
দিয়ে ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ
বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারা দেশে পালিত হবে শোকাবহ দিবসটি।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয়
কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ,
কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল
৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা
কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ,
ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আজ বেলা ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন।