টানা তিনদিনের আন্দোলনে টালমাটাল অবস্থায় ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আন্দোলন থামলেও এখনো কমেনি উত্তেজনা। নানা ইস্যুতে ক্রিকেটাঙ্গন ফের উত্তপ্ত হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এমন সব শঙ্কার মাঝেও সুখবর পেলেন ক্রিকেটাররা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ম্যাচ ফিসহ আনুষঙ্গিক আরো সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে। বিসিবির পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম স্তরের ম্যাচে ফি বাড়ছে ৭১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় স্তরে বাড়ছে ১০০ শতাংশ। বাড়ছে ভ্রমণ ভাতা ও দৈনন্দিন ভাতাও। বাড়ানো হয়েছে আবাসন ব্যয়। সেই সঙ্গে হোটেল থেকে মাঠে যাওয়ার জন্য এসি বাস বরাদ্দ করার কথাও জানানো হয়েছে। চলতি জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ড থেকে পরিবর্তিত এ বেতন-ভাতা কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
গত ২১ অক্টোবর নানা দাবি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যে দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেটও বর্জন করার ঘোষণা দেন তারা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে বেশ গুরুত্ব পেয়েছিল প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের মানোন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপারটি। যেখানে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে চারদিনের ম্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করার দাবিও ছিল। সমঝোতায় পৌঁছানোর দিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও আশ্বস্ত করেছিলেন দ্রুত এ দাবি বাস্তবায়নের। ক্রিকেটারদের চাহিদা অনুযায়ী না বাড়লেও বেশ উল্লেখযোগ্য হারেই বাড়ছে ম্যাচ ফি। এর আগে প্রথম স্তরে থাকা দলগুলোর ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি পেতেন ৩৫ হাজার টাকা। যেটি এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় স্তরের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ছে ১০০ শতাংশ। তারা আগের ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে এখন পাবেন ৫০ হাজার টাকা।
ক্রিকেটারদের দাবিতে উল্লেখ ছিল ভ্রমণ ভাতা বাড়ানোর বিষয়টিও। ভ্রমণ ভাতা ২ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে দাবি ছিল বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেয়ার। বিসিবির পক্ষ থেকেও বিমান ভ্রমণের ব্যবস্থা করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তবে যেসব স্থানে বিমান ভ্রমণের সুবিধা নেই, সেখানে ভ্রমণের জন্য দেয়া হবে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
ক্রিকেটারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার দৈনিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের ১ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে এখন ক্রিকেটাররা পাবেন ২ হাজার ৫০০ টাকা, যা বেড়েছে ৬৭ শতাংশ।