চলতি বছর বৈশ্বিক সম্পদের পরিমাণ ৯ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে ৩৬০ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ভারতের অবদান ৬২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা মোট বৈশ্বিক সম্পদের প্রায় ৭ শতাংশের সমান। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রেডিট সুইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএসআরআই)। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
সিএসআরআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, বৈশ্বিক সম্পদে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট সম্পদের ৪৫ শতাংশ। এর পরই রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীন। দেশটির অবদান ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার, যা মোট বৈশ্বিক সম্পদের ২১ শতাংশ।
সিএসআরআই প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’-এর ১০ম সংস্করণ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মাথাপিছু গড় সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৮৪৯ ডলার। ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মাথাপিছু গড় সম্পদের পরিমাণ ১৪ হাজার ৫৬৯ ডলার, যা বৈশ্বিক গড়ের প্রায় ৮০ শতাংশের নিচে। প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মাথাপিছু গড় সম্পদের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ, যথাক্রমে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪ ডলার ও ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৩ ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সম্পদের পরিমাণ বাড়লেও প্রত্যেক ব্যক্তি এ প্রবৃদ্ধির সমান অংশীদার নয়। এখনো দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সম্পদ ঘাটতি বা ওয়েলথ প্রভার্টি রয়েছে। ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৭৮ শতাংশেরই সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার ডলারের নিচে। অথচ বিশ্বের সম্পদশালীদের তালিকায় ভারতের অবদান বেশ বড়।
সিএসআরআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটির ৮ লাখ ২৭ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক বৈশ্বিক সম্পদধারীদের শীর্ষ ১ শতাংশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। সংস্থার প্রাক্কলন অনুসারে, ভারতের ৪ হাজার ৪৬০ জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ডলারের বেশি এবং ১ হাজার ৭৯০ জন প্রাপ্তবয়স্কের ১০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে।
এদিকে ভারতে গৃহস্থালি ঋণ প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ। বৈশ্বিক ৪ শতাংশ গড় গৃহস্থালি ঋণের তুলনায় ভারতে এ হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে তা এখনো উন্নত দেশগুলোর নিচে রয়েছে। ওয়েলথ রিপোর্টের প্রাক্কলন অনুসারে, ভারতে ব্যক্তিগত ঋণের হার ১ হাজার ৩৪৫ ডলার বা মোট সম্পদের ৮ শতাংশ। ভারতের ক্ষেত্রে আর্থিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ হয়ে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা বৈশ্বিক গড় ২ শতাংশের নিচে রয়েছে।