বাণিজ্যযুদ্ধ ও ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন আশায় বৈশ্বিক শেয়ারবাজার চাঙ্গা

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের সমাধানে অগ্রগতি হচ্ছে এমন আশা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বিশৃঙ্খলভাবে বেরিয়ে যাবে না এমন বিশ্বাসের ওপর ভর করে গতকাল বৈশ্বিক শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। খবর রয়টার্স।

৪৭টি দেশের শেয়ার ট্র্যাক করা এমএসসিআইয়ের ওয়ার্ল্ড ইকুইটি ইনডেক্স বাড়ে শূন্য দশমিক শতাংশ। আর বিস্তৃত ইউরো স্টকস ৬০০ বাড়ে শূন্য দশমিক শতাংশ।

এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতেও ইতিবাচক ভাব লক্ষ করা গেছে। জাপান বাদে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিস্তৃত এমএসসিআই সূচক বাড়ে শূন্য দশমিক শতাংশ। চীনা শেয়ারের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক শতাংশ। জাপানের নিক্কেই বেড়েছিল শূন্য দশমিক শতাংশ। জার্মান ডিএএক্স ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ এফটিএসই ফিউচারস শুধু শূন্য দশমিক শূন্য শতাংশ

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ইইউ থেকে বেরিয়ার যাওয়ার চুক্তির ওপর ভোটাভুটি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট পিছিয়ে দিলেও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা কমে এসেছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দরে। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারগুলোর অবস্থাও বেশ ভালো ছিল।

এদিকে শুক্রবার বাণিজ্য নিয়ে দুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে উভয় পক্ষ সমতা পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হি। তার মন্তব্যে এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ অনেকটাই কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে গতকালের শেয়ারসূচকে।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠেও ইতিবাচক সুর লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেছেন, আগামী মাসে চিলিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সম্মেলনের আগেই একটি বাণিজ্য চুক্তি হওয়া খুব সম্ভব।

জেনেভায় ইউনিজেসশনের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার জেরেমি গাত্তো বলেন, দুই দেশ বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আগেও আমরা দেখেছি, একটা সময় সবকিছু বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে মনে হলেও কয়েক দিন বাদে সব কিছু আবার নষ্ট হয়ে যায়।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিষয়টিও বাণিজ্য আলোচনায় প্রভাব ফেলছে। কেননা চীনের আরোপিত শুল্ক নিজের ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলুক এমনটা চান না ট্রাম্প।

গাত্তো বলেন, ট্রাম্প বুঝতে পেরেছেন যে চলতি বছরের শেষে চীন কিছু শুল্ক আরোপ করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং এটি হবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য খারাপ সংবাদ এবং অবধারিতভাবে তার জন্যও।

ওয়াল স্ট্রিটের ফিউচারসেও ইতিবাচক ভাব দেখা যায়, বেড়েছিল শূন্য দশমিক শতাংশ। অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে মাইক্রোসফট অ্যামাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলোর আয়ের তথ্য প্রকাশ হবে, এটিও বাজারকে চাঙ্গা করতে ভূমিকা রেখেছে।

এদিকে ব্রেক্সিট বিলম্ব করতে ইইউর কাছে চিঠি পাঠাতে বরিসকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বাধ্য করার পর ডলারের বিপরীতে পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ থেকে নেমে আসে পাউন্ড। এদিকে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে ৩১ অক্টোবরই ব্রেক্সিট হবে। কিন্তু ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা কী প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুদ্রাটির ওপর। আগামী দিনগুলোয় মুদ্রার মান আরো পতনের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্লোডম্যান স্যাকস বলছে, তারা মনে করছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা আগের ১০ শতাংশ থেকে কমে শতাংশে দাঁড়িয়েছে। লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ টিম ড্রেসান বলেন, আমি খুব উচ্ছ্বসিত নই এজন্য যে, এখনো বিপুল পরিমাণ অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে, এমনকি চুক্তি হলেও। তিনি বলেন, চুক্তি হলেও খুব একটি সহজ ব্রেক্সিট হবে না এবং এটি যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন