কাতারের বিপক্ষে স্নায়ুচাপের মুখে নতি স্বীকার না করে সতীর্থদের ম্যাচ উপভোগের পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপে আজ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি লাল-সবুজরা।
আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করে কাতার। পরের ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দেশটি। অপরদিকে আফগানিস্তানের কাছে ০-১ গোলে হেরে মিশন শুরু বাংলাদেশের। এটিই হতে যাচ্ছে গ্রুপে লাল-সবুজদের কঠিনতম ম্যাচ। তার আগে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সতীর্থদের চাপ না নেয়ার পরামর্শ দিলেন, ‘তরুণদের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে—মাঠে যাও। খেলাটা উপভোগ করো এবং সুযোগ নাও। নিজেদের ওপর চাপ নিও না। কাতার এশিয়ার সেরা দল। আমরা কঠিন ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছি। ম্যাচে সুযোগ পেলে তা আমরা লুফে নেব।’
কাতারের বিপক্ষে চারবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সবগুলো এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে। চার ম্যাচে সুখস্মৃতি বলতে ১৯৭৯ সালে ঢাকায় ১-১ গোলে ড্র করা। ওই বছরই বাছাইয়ের ফিরতি লেগে বাংলাদেশ ০-৪ গোলে হেরেছে। এছাড়া ২০০৬ সালের বাছাইয়ে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ১-৪ গোলে। দোহায় ফিরতি লেগে হার ৩-০ গোলে।
ওসব মাথায় না রেখে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বর্তমান নিয়েই ভাবছেন, ‘কাতার দলে দুর্দান্ত কিছু ফুটবলার রয়েছে। তারা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশকে তাদের হারানো উচিত। কিন্তু ফুটবলে সবসময়ই চমকপ্রদ ফল হয়ে থাকে।’ নিজ দল সম্পর্কে ৪০ বছর বয়সী এ কোচের বিশ্লেষণ, ‘আমার মতে, বাংলাদেশ দল নিকট অতীতের চেয়ে অনেক ভালো ফুটবল খেলছে।’ এ কোচের সঙ্গে একমত পোষণ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘জেমি দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা আগের চেয়ে অনেক সংঘবদ্ধ। বাংলাদেশ এখন দলগতভাবে অতীতের চেয়ে অনেক গোছাল।’
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৭) চেয়ে ১২৫ ধাপ এগিয়ে কাতার (৬২)। দেশটির লক্ষ্য ‘ই’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, বাংলাদেশ লড়ছে সম্মানজনক অবস্থানের জন্য। এমন দলের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেয়ার পাশাপাশি ভাগ্যের আনুকূল্যও প্রত্যাশা জেমির, ‘ম্যাচে কাতার জয়ের জন্য নামবে। তবে ছেলেরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, দলগতভাবে আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারি