অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজার থেকে ৬ হাজার কোটি ডলার উধাও

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বমন্দার শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত এএসএক্স২০০-এর মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের সূচকের পতন হয়েছে। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারির পর দেশটির শেয়ারবাজার বড় ধরনের পতনের মুখোমুখি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ছিল দেশটির শেয়ারবাজারের ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন। এদিনেই সেখানকার শেয়ারবাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে ৬ হাজার কোটি ডলার।   খবর গার্ডিয়ান।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এ শেয়ারবাজারের পতন হয়েছিল ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। ঘনায়মান বৈশ্বিক মন্দার ভয়ে দেশটির শেয়ারের মূল্যের রেকর্ড পতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অস্ট্রেলিয়ার বেঞ্চমার্ক এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স২০০ সূচক বৃহস্পতিবার ১৮৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ পতন নিয়ে ৬ হাজার ৪০৮ দশমিক ১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিকে দেশটির অল অর্ডিনারিস সূচক ১৮৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৪৯০ দশমিক ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এএসএক্স২০০ শেয়ারদর হারিয়েছিল ১৯২ দশমিক ৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা তত্কালীন বিশ্ব আর্থিক সংকটের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

এদিকে জুলাইয়ে দেশটিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৪১ হাজার, যা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। কিন্তু গত মাসে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হওয়া সত্ত্বেও থামছে না দেশটির খনি খাত থেকে শুরু করে ভোক্তা বাজারের সংকট।

দেশটির বড় চারটি ব্যাংক হলো কমনওয়েলথ, ওয়েস্টপ্যাক, ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক (এনএবি) ও অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং গ্রুপ লিমিটেড (এএনজেট)। সবগুলো ব্যাংকের শেয়ারদর বৃহস্পতিবার ৩ শতাংশ কমেছে। সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির খনিসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ এ খাতের সুদিন আন্তর্জাতিক চাহিদার ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে উল্লিখিত সময়ে এখানকার খনিসংশ্লিষ্ট কোম্পানি বিএইচপি ও রিও টিন্টোর শেয়ারদরের পতন হয়েছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৮ ও ২ দশমিক ৭ শতাংশ।

আগামী আরো কয়েক মাস নিজেদের  দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা নিক টুয়াইডেল। দেশটির অর্থনীতির সার্বিক উন্নতির জন্য আগামী মাসে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। তবে চীন-মার্কিনের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি চাঙ্গাভাব দেখার সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন