শাস্ত্রীই ভারতের প্রধান কোচ : হেসনকে পেতে বাধা নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো মিডিয়ার ধারণাই। ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে আবারো দায়িত্ব পেলেন রবি শাস্ত্রী। তার নতুন চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কোচ নির্বাচনের জন্য ছয়জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছিল বিসিসিআই (ভারত ক্রিকেট বোর্ড)। তাদের মধ্যে জোরালো প্রার্থী ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন। গত বৃহস্পতিবার ভারত বোর্ড কর্তাদের কাছে সাক্ষাত্কারও দেন এ কিউই কোচ। এখন শাস্ত্রী প্রধান কোচ হওয়াতে হেসনকে প্রধান কোচ হিসেবে পেতে আর কোনো বাধা থাকল না বিসিবির।

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরপরই স্টিভ রোডসকে বিদায় করে বিসিবি। এর পর থেকেই প্রধান কোচের খোঁজে নামে বাংলাদেশের ক্রিকেট  সংস্থাটি। কোচ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক গোপনীয়তারও কৌশল নেয় বিসিবি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সরাসরি ও টেলিফোনেও সাক্ষাত্কার নিয়েছেন বিসিবির কর্মকর্তারা। ঢাকায় এসে সাক্ষাত্কার দিয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তার সঙ্গে কথাবার্তায় সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন দেশের ক্রিকেট কর্তারা। কিন্তু চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য আরো সময় নেয়া হয়। এ পর্যায়ে বিসিবির প্রথম পছন্দ যে হেসন, সে বিষয়টি চলে আসে সামনে।

এরপর অপেক্ষার পালা। ভারতের কোচের দৌড়েও শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন হেসন। ভারত বোর্ড কাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেবে, সেদিকেই প্রখর দৃষ্টি রাখে বিসিবি। কোচ চূড়ান্ত করতে নেয়া হয় কালক্ষেপণের আশ্রয়। হেসনকে পাওয়ার জন্যই যে ‘ধীরে চলার নীতি’ নেয় বিসিবি, তা বলাই বাহুল্য। কোচ নির্বাচন নিয়ে কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করেও তেমন কিছু জানায়নি বিসিবি। ‘খুব শিগগিরই’, ‘দুদিনের মধ্যেই’ প্রধান কোচ নিয়োগ দেয়া হবে, এভাবেই গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন বিসিবি কর্মকর্তারা। এই যে অপেক্ষা এটা যে ভারতের কোচ নির্বাচনসংক্রান্ত, বিশেষ করে হেসনের জন্য তা বুঝতে প্রয়োজন পড়ে না বিশেষজ্ঞ হওয়ার।

প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাত্কার পর্ব শেষে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে ভারতীয় বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি কপিল দেব। কোচ নির্বাচনের জন্য কপিল, অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গসোয়ামিকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ভারত বোর্ড। এ কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে গতকাল সন্ধ্যাবেলায় সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন কপিল দেব। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন শাস্ত্রী। এর আগে ২০১৭ সালে প্রথমবার ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক এ ভারতীয় অলরাউন্ডার। ২০১৭ সালের কোচ নির্বাচনের ওই কমিটিতে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভেঙ্কট সাই লক্ষ্মণ। শাস্ত্রীর প্রথম পর্বে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতে ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকলেও বড় আসরে সেই অর্থে তেমন অর্জন নেই বিরাট কোহলির দলের। সর্বশেষ বিশ্বকাপেও ভারত বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে।

কয়েকদিন ধরেই মিডিয়াতে গুঞ্জন ছিল, ভারত অধিনায়ক কোহলির চাওয়াতেই আবারো কোচ হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন শাস্ত্রী। বিশ্বকাপ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে কোচ হিসেবে শাস্ত্রীকে চাওয়ার কথা জানান কোহলি। তার ভাষায়, উপদেষ্টা (কোচ নিয়োগের তিন সদস্যের কমিটি) কমিটি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি তারা আমার কাছে পরামর্শ চায়, তবে আমি বলব রবি শাস্ত্রীর কথা। তিনি যদি কোচ হন, তবে আমরা খুবই খুশি হব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন