ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তান

বণিক বার্তা ডেস্ক   

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেশটিকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে পাকিস্তান পেঁয়াজ, টমেটো ও রাসায়নিকের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য প্রতিবেশী দেশটির ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে বিশেষ সমস্যায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের (এফআইইও) মহাপরিচালক অজয় সাহাই বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানকে আরো খারাপভাবে আঘাত করবে। কারণ ভারতের পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীলতার তুলনায় ইসলামাবাদের প্রতিবেশী দেশটির ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি।

তিনি আরো বলেন, ইসলামাবাদ নয়াদিল্লিকে ‘সর্বাধিক আনুকূল্যপ্রাপ্ত দেশে’র মর্যাদা না দেয়ার ফলে প্রতিবেশী দেশটিতে ভারতের পণ্য রফতানির তালিকা বেশ সীমিত। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে এরই মধ্যে এসব পণ্যের তৈরি বাজার রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করার পর বুধবার পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট বিক্রমাজিত সিং সাহনি এ সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরো প্রভাবিত করবে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেডের (আইআইএফটি) অধ্যাপক রাকেশ মোহন যোশির মতে, পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেশটির ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলবে। মোহন যোশির মতোই একই কথা বলেছেন জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বিশ্বজিত ধর। তার মতে, দীর্ঘ ও স্বল্প উভয় মেয়াদেই পাকিস্তানকে তার সিদ্ধান্তের জন্য ভুগতে হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্দেহভাজন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের হামলার পর থেকেই চিরবৈরী দুই প্রতিবেশীর বাণিজ্য সম্পর্কে চিড় ধরে। সে সময় ভারত প্রতিবেশী দেশটি থেকে আমদানীকৃত সব পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক আরোপ করে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তানে ভারতের বার্ষিক রফতানি ২০০ কোটি ডলার ও ইসলামাবাদ থেকে বার্ষিক আমদানির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি ডলার। তবে গত বছরের মার্চের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তান থেকে আমদানির পরিমাণ ৯২ শতাংশ কমে মাত্র ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলারে দাঁড়ায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন