এএনআইকে মির্জা ফখরুল

ভারত ও বিএনপির সম্পর্কের বরফ গলা শুরু হয়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনের পর আমাদের সম্পর্ক নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।’

বুধবার ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের করা একাধিক চুক্তির বিষয়ে বিএনপির আপত্তি ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ওই বৈঠকের পর এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে বর্তমান প্রেক্ষাপট দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে।’

প্রণয় ভার্মার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এছাড়া আমরা ভারতকে আশ্বস্ত করেছি যে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের স্থান হবে না। এর আগে অভিযোগ ছিল যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হতো।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বরাবরই খুব ভালো ছিল। তবে বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি মনে করি, সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। আমি আশা করি, এবার সম্পর্কটা আরো মজবুত হবে। ভারত আমাদের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা তাদের বোঝার চেষ্টা করা উচিত। সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখা উচিত নয়। তাদের উচিত জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উন্নয়ন করা।’

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবশ্যই এটা তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, এ বৈঠকের পর সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।’

ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি না, এখনো সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে কিনা। তবে আমি মনে করি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেগুলোর মুখোমুখি হতে ফেরত আসা উচিত।’

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে বলে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে বলে আমি মনে করি না।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন