এশিয়া মহাদেশ

২০২৮ সালে এআইয়ে বিনিয়োগ দাঁড়াবে ১১ হাজার কোটি ডলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২৪ সালে এআই ব্যবহারে শীর্ষ খাত হবে সফটওয়্যার ও তথ্য পরিষেবা শিল্প ছবি: ইন্ডিয়া টেকনোলজি নিউজ

এশিয়া বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, বিশেষ করে চীন জাপান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করছে। বৈশ্বিক এআই প্রযুক্তির প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অঞ্চলটি। বাজার গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে এআই প্রযুক্তিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিনিয়োগ দাঁড়াবে ১১ হাজার কোটি ডলারে।

আইডিসির বিশ্লেষকরা বলছেন, যেহেতু কোম্পানিগুলো জেনারেটিভ এআই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে এটি আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহারের দিকে চলে যাচ্ছে, তাই তারা এআই পরিচালনা নিয়ন্ত্রণের ওপর আরো বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। কোম্পানিগুলো শুধু প্রযুক্তি নিয়েই ভাবছে না, বরং কোম্পানি সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য নিয়ম সংস্কৃতি সম্পর্কেও চিন্তা করছে। প্রযুক্তির কার্যকর পরিচালনা একটি কোম্পানির সামগ্রিক এআই পরিকল্পনার অপরিহার্য অংশ হওয়া উচিত।

আইডিসির বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৪ সালে এআই ব্যবহারে শীর্ষ খাত হিসেবে পরিচিত হবে সফটওয়্যার তথ্য পরিষেবা শিল্প। এআইয়ে বিনিয়োগ করা বিশাল পরিমাণ অর্থ প্রযুক্তিগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে। অবকাঠামো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এআই সিস্টেম তৈরি চালাতে দরকারি কম্পিউটিং ক্ষমতা এবং স্টোরেজ পেতে সাহায্য করে। এদিকে ব্যাংক খাত তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করা নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এআইয়ে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তারা প্রতারণা শনাক্তকরণ স্বয়ংক্রিয় গ্রাহক সহায়তার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। টেলিকম কোম্পানিগুলোও তাদের নেটওয়ার্ক অপারেশন, গ্রাহক সেবা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নত করার জন্য দ্রুত এআই জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। ফলে তাদের বৃহৎ পরিমাণের ডাটা পরিচালনা করা সহজ হচ্ছে।

এছাড়া এআই আবির্ভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসায়িক কৌশলেও পরিবর্তন আসছে। গ্রাহক সেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এআই ব্যবহার করে যোগাযোগ উন্নত করা হচ্ছে। আর্থিক খাতেও এআই প্রতারণা শনাক্তকরণকে আরো এগিয়ে নিয়েছে। লেনদেনের তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করতে পারে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন প্রতারণার কৌশলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, যা ভবিষ্যতে সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করছে।

প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন আরো বলছে, এআই সরকারি কার্যক্রমেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, যা বিভিন্ন সেক্টরে আরো ভালো কার্যকারিতা সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিত করে। আইডিসির পূর্ববর্তী একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২০২৮ সালের মধ্যে বৈশ্বিক ব্যবসায়িক খাতে এআই ব্যবহার করতে প্রায় ৬৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। সম্প্রতি কোম্পানিগুলো এআই প্রযুক্তি গ্রহণে ক্রমে আগ্রহী হচ্ছে। এছাড়া এআই প্রযুক্তিতে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বিশ্ব অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যয় মোট ১৯ দশমিক ট্রিলিয়ন বা ১৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় দশমিক শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন