তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে প্রথমবারের মতো যুদ্ধজাহাজ চালাল জাপান

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি— বিবিসি।

তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো যুদ্ধজাহাজ চালিয়েছে জাপান। এর আগে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যবর্তী এ প্রণালী দিয়ে কোনো জাপানি যুদ্ধজাহাজ চলতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। জাপানি মন্ত্রীদের উদ্ধৃত করে তারা জানায়, জাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে গিয়েছে।

জাপানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার জেএস সাজানামি নামে একটি নৌ ডেস্ট্রয়ার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে গিয়েছে। জাহাজটির সঙ্গে ছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের আরো দুটি জাহাজ।

বিবিসি বলছে, তাইওয়ান এবং তাইওয়ান প্রণালীকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে। ফলে তাদের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে এলাকাটি দিয়ে চলাচল এড়িয়ে আসছিল জাপান। প্রথমবারের মতো তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে জাহাজ চালানোর এ পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।

তবে বিষয়টি নিয়ে তাইওয়ান ও চীন কেউই কোনো মন্তব্য করেনি। অবশ্য চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক খবরে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, জাহাজটি তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করার সময় পুরো পথজুড়ে সেটিকে ট্র্যাকিং করেছে চীন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের ভাষ্যপ্রণালীটি শিপিং ও বাণিজ্য রুট। এটি আন্তর্জাতিক জলসীমার অংশ এবং সবধরনের নৌ জাহাজের জন্য উন্মুক্ত। তবে এ বক্তব্য কখনোই স্বীকার করে না বেইজিং।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, সম্প্রতি চীন বারবার নিজেদের আকাশসীমা অতিক্রম করে চলেছে। এ কারণে জাপান এক ধরনের চাপ অনুভব করছে। তবে যুদ্ধজাহাজের চলাচল বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে বেইজিং প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের কাছে দুটি জাপানি দ্বীপের মধ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায়। গতকাল বুধবারও চীন প্রশান্ত মহাসাগরে কৃত্রিম বোমবাহী একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে। এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণকে নিজেদের নিয়মিত কার্যক্রম এবং বার্ষিক প্রশিক্ষণের অংশ বলে দাবি করেছে চীন। সাধারণত নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা দেশের অভ্যন্তরে করে থাকে তারা। গত চার দশকের পর এই প্রথম তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরীক্ষামূলকভাবে আইসিবিএম ছুড়ল।

এদিকে সম্প্রতি এশিয়ার বাণিজ্য সমৃদ্ধ জলসীমায় যৌথ সামুদ্রিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের সমন্বয়ে গঠিত কোয়াড জোট। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্যের বিপরীতে এ জোটের শুরু। যদিও হোয়াইট হাউজ বলেছে, কোয়াড সম্মেলন নির্দিষ্ট কোনো দেশকে লক্ষ্য করে নয়। তবে চীন বরাবরই কোয়াড গ্রুপের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। বেইজিং চীনকে বিচ্ছিন্ন করা ও এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে এ জোটকে দেখছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন