গত মার্চে হঠাৎ করেই শ্রীলংকার
বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ডাক পড়ে তখন পেস বোলার হাসান মাহমুদের। এর আগে কখনই টেস্ট না
খেলা বোলারটিকে বড় আশা ছিল না হয়তো কারোরই। তবু নির্বাচকদের নিরাশ করেননি ডানহাসি পেসারটি।
দুই ইনিংস মিলে নিলেন ৬ উইকেট।
এরপর গত মাসে পাকিস্তান
সফরে আলোতে তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে নিলেন ৩ উইকেট। খুব ভালো না হলেও বাংলাদেশ
দল জিতে যাওয়ায় উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চায়নি ম্যানেজমেন্ট। ফলে পরের টেস্টেও হাসান
টিকে যান। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্য বোলিং করে ৪৩
রানে তুলে নিলেন ৫ উইকেট। পাকিস্তান ১৭২ রানে গুটিয়ে গেলে বাংলাদেশ পায় ১৮৫ রানের টার্গেট।
সেবার ৬ উইকেটের জয়ে ইতিহাস গড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রাওয়ালপিন্ডির ফর্মটা
তিনি টেনে নিলেন চেন্নাইতে। আজ প্রথম সকালে চেন্নাইয়ের উইকেটে আগুণ ঝরালেন, লণ্ডভণ্ড
করলেন ভারতের বিশ্বখ্যাত টপ অর্ডার।
সকালে দুই দিকেই সুইং
করিয়েছেন হাসান যিনি দারুণ লাইন, লেংথে বল করছিলেন। ব্যাটসম্যানদের সামনে টেনে এনে
ড্রাইভ খেলতে প্রলুব্ধ করেছেন। অনেকটা বাজে বলে শুভমান গিলের উইকেট পেলেও রোহিত শর্মা
ও বিরাট কোহলির উইকেট নেন দারুণ দুই ডেলিভারিতে। রোহিতকে আউট করা ডেলিভারিটি ক্ল্যাসিক
টেস্ট ম্যাচ উইকেট। আর অফ স্টাম্পের বাইরে ড্রাইভ করার চেষ্টায় আউট হন কোহলি। লাঞ্চ
থেকে ফেরার পরপরই পন্তকে সাজঘরের পথ দেখান হাসান মাহমুদ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত
ভারতের পতন হওয়া চারটি উইকেটই জমা পড়ে হাসানের ঝুলিতে।
এর আগে মাত্র ৩ টেস্টের
ক্যারিয়ারে ১৪ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান হাসান মাহমুদ। এর মধ্যে সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডিতে
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি শিকার করেন ৫ উইকেট।