মেনিনজাইটিস

ঝুঁকিতে আছেন যারা...

ছবি : বণিক বার্তা

যদিও মেনিনজাইটিস সব বয়সকে প্রভাবিত করে, তবে ছোট শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। নবজাতক শিশুরা গ্রুপ বি স্ট্রেপটকক্কাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া ছোট শিশুরা মেনিনোকোকাস, নিউমোকোকাস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার ঝুঁকিতে থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের এবং অল্প বয়স্কদের মেনিনোকোকাল রোগের বিশেষ ঝুঁকি থাকে।

বিশ্বের প্রায় মানুষ মেনিনজাইটিসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ রোগের সবচেয়ে বেশি প্রকোপ সাব-সাহারান আফ্রিকার একটি অঞ্চলে দেখা যায়, যা আফ্রিকান মেনিনজাইটিস বেল্ট নামে পরিচিত। বিশেষ করে সে অঞ্চলে মেনিনোকোকাল ও নিউমোকোকাল মেনিনজাইটিসের আক্রান্তের হার বেশি। 

আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। উদাহরণস্বরূপ গণসমাবেশে, শরণার্থী শিবিরে, হোস্টেল, সামরিক ও অন্যান্য পেশাগত জায়গায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও ঝুঁকিতে থাকেন। যেমন এইচআইভি সংক্রমণ বা আক্রান্ত ব্যক্তি, ইমিউনোসপ্রেশন এবং সক্রিয় বা পরোক্ষ ধূমপানও বিভিন্ন ধরনের মেনিনজাইটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকল্প

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে মেনিনজাইটিসের মতো রোগকে প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যার কারণে সংস্থাটি তাদের বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ সর্বপ্রথম মেনিনজাইটিস সংক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রথম রেজল্যুশনে অনুমোদিত করে এবং ডব্লিউএইচও সদস্য দেশগুলো সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করেছিল।

এ প্রকেল্পর তিনটি মূল লক্ষ্য হলো

• ব্যাকটেরিয়া মেনিনজাইটিস মহামারী নির্মূল

• ভ্যাকসিন প্রতিরোধযোগ্য ব্যাকটেরিয়া মেনিনজাইটিসে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ ও মৃত্যু ৭০ শতাংশ হ্রাস 

• যেকোনো কারণে মেনিনজাইটিসের পরে অক্ষমতা হ্রাস ও জীবনমানের উন্নতি।

বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান মৃগীরোগ এবং অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত্ন ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করছে ডব্লিউএইচও। মৃগীরোগ ও অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধিগুলোকে নিয়ে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন