শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হলো বিআরটিসির শাটল বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: (পিআইডি)

দেশী-বিদেশী পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাতায়াত ও লাগেজ পরিবহনের সুবিধার্থে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে শাটল বাসসেবা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল এ বাসসেবার উদ্বোধন করেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে দুটি শাটল বাস দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিস বিমানবন্দর টার্মিনাল-২ থেকে বিমানবন্দর গোলচত্বর, উত্তরা জসীমউদ্‌দীন রোড, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ হয়ে আবার বিমানবন্দর গোলচত্বর ও বিমানবন্দর টার্মিনাল-২-এ পৌঁছবে। প্রতিটি বাসে মোট ২৫টি সিট রয়েছে। বাসের ভেতর যাত্রীদের আলাদা লাগেজ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ পরিষেবার মাধ্যমে বিমানবন্দরের যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারবে। বিআরটিসির কারিগরি দক্ষতায় তৈরি বিশেষ এ বাস সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাগেজ পরিবহনের সুবিধা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ফ্রি ওয়াই-ফাই এবং প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের বাসে ওঠা-নামার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। গাজীপুরের সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানায় বিআরটিসি নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় প্রাথমিকভাবে এ দুই বিশেষ শাটল বাস প্রস্তুতির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরটিসি এরই মধ্যে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখন সেবাধর্মী সার্ভিসগুলোর দিকে বিআরটিসি দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেকেই বিদেশ থেকে এসে বিপাকে পড়েন লাগেজ নিয়ে। গাড়ি পান না তারা। আমরা যে বাস সার্ভিস দিয়েছি এখানে ৪০-৫০ কেজির লাগেজ নিয়ে উঠতে পারবেন। এ গাড়িগুলো এয়ারপোর্টেই থাকবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা এখন নিজেদের কারখানায়ই এসব গাড়ি প্রস্তুত করছি। অদূর ভবিষ্যতে আর আমাদের গাড়ি আমদানি করতে হবে না। নিজেরাই উৎপাদন করতে পারব।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে দুদক আছে। দুদককে প্রধানমন্ত্রী একেবারেই জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছেন। দুর্নীতি যে-ই করুক এখানে সরকারের জিরো টলারেন্স, প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। দুর্নীতির তদন্ত করার অধিকার দুদকের আছে। এ স্বাধীনতায় সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন