বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে
যেতে হলে ১২.১ ওভারের মধ্যেই আফগানিস্তানের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হতো। তা
করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১২.১ ওভারের মধ্যে না জিতলে লাভও হতো না। রান
রেটে অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে যেতে পারতো না টাইগারার। কিন্তু সেই সমীকরণে যাওয়া লাগেনি।
শান্তরা হেরেই গেলেন ৮ রানে। ফলে এখানেই শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা।
১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া
করতে নেমে প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস। তবে পরের
ওভারেই ফজলহক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি
অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের
ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে
পারেননি শান্তও। উইকেটে এসেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ইনিংসের
তৃতীয় ওভারে নাভিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে
তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ বলে ৫ রান।
পরের বলেই সাকিব আল হাসানকেও
ফিরিয়েছেন নাভিন। চারে নেমে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একাদশে ফেরা সৌম্য
ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল খেলে করেছেন ১০ রান। এরপর
লিটন দাস (৪৯ বলে ৫৪*) একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও অন্যপ্রান্তে
নিয়মিত উইকেট পতন ঘটাচ্ছিলেন স্পিনার রশিদ খান (৪/২৩)।
বাংলাদেশের জন্য ৯ বলে
৯ রানের প্রয়োজন তখন পরপর দুটি গোলায় তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানকে আউট করে আফগানদের
জন্য রূপকথা লিখে ফেলেন নাভিন উল হক (৪/২৬)।
এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক
আসরের সেমিফাইনালে নাম লেখাল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি, যারা বাংলাদেশের অনেক অনেক পরে ক্রিকেটে
যাত্রা করেছে।