ভিয়েতনামে কফি উৎপাদন কমার পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: রয়টার্স

ভিয়েতনাম চলতি বছর এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন খরার মুখোমুখি হয়েছে। এ বছরের মার্চ থেকে মে মাসের শুরুর সময় পর্যন্ত দেশটির সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস কফি উৎপাদন অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি ছিল। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির কফি উৎপাদন। এসব কারণ বিবেচনা করে চলতি বছর দেশটিতে কফি উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১০-১৬ শতাংশ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ অব ভিয়েতনাম (এমভিএক্স)। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি হেড নগুয়েন এনগক কুইন। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

এ বিষয়ে ভিয়েতনামের অন্যতম শীর্ষ কফি উৎপাদনকারী প্রদেশ গিয়া লাইয়ের এক কফিচাষী নগুয়েন হু লং বলেন, ‘‌দেশের সার্বিক কফি উৎপাদন চলতি বছর ১০-১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। কিন্তু এ সময় আমার কৃষিজমিতে কফি উৎপাদন বাড়বে। গাছগুলোকে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।’

অন্যদিকে সম্প্রতি ভিয়েতনামে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়েছে। এতে সামনের দিনগুলোয় কফির ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষক। তবে এ অনুকূল আবহাওয়ায় রোবাস্তা কফির দাম কমবে কিনা তা এখানো অস্পষ্ট। সংশ্লিষ্টদের মতে, ফলন যেমনই হোক না কেন সামনের দিনগুলোয় বিশ্বজুড়ে কফির দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।

একাধিক ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষক জানান, বৈরী আবহাওয়ায় ফিউচার মার্কেটে ভিয়েতনামের কফির দাম চলতি বছরের শুরুতে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। সর্বশেষ ইউরোস্ট্যাট তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর কফির মূল্যস্ফীতি মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কফি রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। সম্প্রতি দেশটি থেকে রফতানির পরিমাণও কমেছে। তবে এক প্রতিবেদনে ভিয়েতনাম প্লাস জানিয়েছে, বাড়তি দামের কারণে কফি বিক্রি থেকে আয় বাড়ছে দেশটির। চলতি বছরের জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ভিয়েতনাম কফি রফতানি থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে। এমনকি মৌসুম শেষে এ আয় ৪৫০-৫০০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ভিয়েতনামের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব কাস্টমসের (জিএসও) তথ্যমতে, চলতি বছর জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ৮ লাখ ৬২ হাজার ৪০০ টন কফি রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ কম। তবে মূল্য হিসাবে গত বছরের তুলনায় রেকর্ড ৩৮ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের মে মাসে ভিয়েতনামের কফির গড় রফতানি মূল্য টনপ্রতি ৪ হাজার ২৭৫ ডলারে পৌঁছেছে, যা এপ্রিলের তুলনায় ১৪ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন