ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কুমার নদের বেইলি ব্রিজ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ

ছবি : বণিক বার্তা

ঝিনাইদহের শৈলকুপা কুমার নদের ওপর ১১২ মিটার বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। কয়েক বছর আগে জং ধরে লোহার পাত ছিদ্র হতে শুরু করে। কয়েক দফা মেরামতও করা হয়। নদী পারাপারের একমাত্র  বেইলি ব্রিজটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছিদ্র হয়ে গেছে পাটাতন। ভেঙে গেছে নিচের লোহার পাত। অনেক স্থানে নাটও খুলে গেছে। বেশির ভাগ স্থানে ডেবে গেছে পাটাতন। তবে বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই  ব্রিজে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ কারণে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনাও।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কে নির্মিত  বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপথের অধীনে ছিল। বর্তমানে এটি এলজিইডির আওতাধীন। মাঝেমধ্যে মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবারো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে ব্রিজটি।

শৈলকুপা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেইলি ব্রিজ দিয়ে গাড়াগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। তবে সেতুর অনেক স্থানে জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। মাঝে থাকা লোহার পাত ভেঙে গেছে। গাড়ি চলাচল করলে ডেবে যায়। ব্রিজটি সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

একই গ্রামের নাদির শেখ বলেন, ‘সেতুর মাঝখানে গর্ত হওয়ায় চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। প্রায় সময় গর্তে পড়ে পথচারীদের হাত-পা কেটে যাচ্ছে। সাইকেল আটকে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে। মাঝেমধ্যেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।’

গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কে চলাচলাকারী আলম উদ্দিন নামে এক করিমন চালক বলেন, ‘ভয়ে ভয়ে সেতু পার হতে হয়। নিচের লোহার পাত ভেঙে গেছে। এ কারণে গাড়ি চলাচল করলে ওপরের পাত নিচু হয়ে যায়। যেকোনো সময় পাত ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

গাড়িচালক পারভেজ হোসেন জানান, যখনই সেতুর মাঝখানে গাড়ি যায়, তখন পাত নিচু হয়ে যায়। কখন জানি ভেঙে যায় সে ভয় নিয়ে সবাই সেতু পার হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপাতত নতুন কোনো ব্রিজ ওখানে নির্মাণ করার পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য আমরা মেরামত করছি। আগামীতেও মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন