![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_388302_1.jpg?t=1719695495)
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোরে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলার বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)। পুলিশ জানায়, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তারা দোতলায় থাকতেন। নিচতলার এক পাশ এবং তিন ও চারতলা ভাড়া দেয়া। এ দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন ও তার স্ত্রী একই বাসায় মা-বাবার সঙ্গে থাকেন।
গতকাল বুধবার (১৯ জুন) রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী
নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান। পুলিশ আরো জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে জরুরি সেবা
নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা বাসার
নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। তার গলা ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের
আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে দোতলায় গিয়ে শোবার
ঘরে মশারির ভেতর স্ত্রী ফরিদার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘এটি ডাকাতির
ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা প্রাথমিকভাবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাসার
ভেতর সব আলমারি খোলা পাওয়া গেছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ধারণা
করা হচ্ছে, ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে। শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় ওঁত পেতে থাকা খুনিরা তাকে
প্রথমে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তারা দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে
হত্যা করে। বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। শফিকুরের কাছে বাসার
প্রধান ফটকের চাবি পাওয়া গেছে। বাসার পেছনের দেয়াল লাগোয়া একটি ভবন বেয়ে এ ভবনে ওঠা
যায়। বাসার ভাড়াটেরা দাবি করেছেন, তারা কেউ বিষয়টি টের পাননি। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া
শেষে মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থলে সিআইডি
ক্রাইম টিম সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা
যাবে।