উচ্চতা নিয়ে জটিলতা

যশোরে নির্ধারিত সময় পার হলেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

যশোরের দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত টেকা নদী। এর এক পাশে মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন। অন্য পাশে অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন। দুটি উপজেলার মাঝে সড়ক যোগাযোগ তৈরির জন্য ২০২১ সালে নদীতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। খুলনা বিভাগীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের মার্চ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছিল। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।

কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরনো সেতু অপসারণ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে ঠিকাদারের সময় ব্যয় হয়। পরে ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময়ও বাড়ানো হয়। সেতুর উচ্চতা নিয়ে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুর কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ হয়নি, এরপর নিয়ম মেনে নির্মাণ না করায় বন্ধ রয়েছে কাজ। অবস্থায় কাঠের তৈরি বিকল্প সেতু দিয়ে প্রায় তিন বছর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নদীর দুই পারের অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষকে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার পর ওই স্থানে থাকা পুরনো সেতু অপসারণ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে ঠিকাদারের সময় ব্যয় হয়। কারণে সেতুটির কাজ সময়মতো শেষ হয়নি। পরে ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানো হয়। এর মধ্যে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দেন। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ রিট আবেদনটি করেন।

বিষয়ে ইকবাল কবির জাহিদ জানান, যশোরের আটটি সেতু নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নকশাবহির্ভূত কম উচ্চতায় করা হচ্ছে। এতে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। কারণে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

মণিরামপুর উপজেলার পাচাকড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার যদি যথাযথ কাজ করত তাহলে যথাসময়ে নির্মাণকাজ শেষ হতো। কিন্তু খুব কম জনবল দিয়ে ধীরে ধীরে কাজ করা হয়েছে। এতে সময়ক্ষেপণ হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার। তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্মাণকাজ চলছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন