ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক

মোটরসাইকেল-ইজিবাইক ও বেপরোয়া ড্রাইভিংকে দায়ী করছেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মঙ্গলবার বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। এ দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সচালক প্রাণ হারান ছবি: সংগৃহীত

এবারের ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে শতাধিক ব্যক্তির। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত পাঁচদিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এ সংস্থার দৈনিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন বলছে, পাঁচদিনে দুর্ঘটনা ঘটেছে সব মিলিয়ে ৯৫টি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০৪ জন। এর বাইরে ঈদের পরদিন ও গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় আরো ২০ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। 

মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চলাচল করায় সারা দেশে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বেপরোয়া ড্রাইভিংও দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তিনি। 

বিআরটিএর প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ১৪ জুন। ওইদিন সারা দেশে ২৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়। এর বাইরে ১৩ জুন ২০ জন, ১৫ জুন আট, ১৬ জুন ২১ ও ঈদের দিন অর্থাৎ ১৭ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়া ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ১৫ ও গতকাল আরো পাঁচজন নিহত হয়েছে।  

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়কে এবার ঈদযাত্রা অনেকটা ভালো হয়েছে। কিন্তু ফিরতি পথের বিষয়টি এখনো রয়েছে। এদিকে অনেকের নজর কম থাকে, তাই দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক সময়। তাই ফিরতি পথটাও এখন দেখতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। ইদানীং যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে, তার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই বেশি হচ্ছে। দুর্ঘটনার চিত্র দেখলে দেখা যাবে, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আছে ইজিবাইক। সড়ক থেকে এ বাহনগুলোকে বাদ দেয়ার উপায় নেই। এজন্য সচিবকে দ্রুত নীতিমালা করার জন্য বলা হয়েছে।’

সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কে লাখ লাখ তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেলের জন্য শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য নীতিমালাটা খুব জরুরি। মানুষের জীবন আগে, জীবিকা পরে। এক্ষেত্রে জীবিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। ভোটের রাজনীতি যারা করেন, তাদের এতে সায় আছে। ইজিবাইক হাইওয়েতে চলে, এটিকে অনেকে সমর্থন করেন অথবা পেছন থেকে মদদ দেন। ঢাকায় যে নিয়ম চালু করা হয়েছে, তাতে ৯৮ শতাংশ মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী তাদের দুজনেরই হেলমেট থাকে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন