ওয়ালটন উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক এসএম রেজাউল আলম কোম্পানিটির পাঁচ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন। গত ৩০ এপ্রিল ডিএসইর বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন শুরু হয় ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০ হাজার ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩। এর মধ্যে ৯৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৬০ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। 

গতকাল ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৪৮৫ টাকা ৩০ পয়সা। এক বছর ধরে শেয়ারটির দর ৪২৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ টাকা ১৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৩ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ টাকা ৬৮ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত), পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ। 

পাশাপাশি কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা রয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত), পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২৪২ টাকা ১৮ পয়সা।

২০২২ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের ১৫০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০২১ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের ১৭০ শতাংশ নগদ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০২০ হিসাব বছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ নগদ ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।

ওয়ালটনের সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। সমাপ্ত ২০২০-২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের অনিরীক্ষিত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন