সিলেটে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। সুরমা কুশিয়ারার সবকয়টি পয়েন্টে
বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এ পরিস্থিতিতে
সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি
করপোরেশন (সিসিক) ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে দক্ষিণ সুরমা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চারপাশে
বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন সিলেট সেনানিবাসের সেনা সদস্যরা। এছাড়া
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা
করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে দক্ষিণ সুরমা তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এটি তলিয়ে
গেলে বেশকিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই আমরা
এই কেন্দ্রটি চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা কাজ শুরু করবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির
বলেন, বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়েছে। আর চার ইঞ্চি পানি
বাড়লেই এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে সিসিক ও সেনাবাহিনী সচল রাখতে
কাজের উদ্যোগ নিয়েছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুরমা কুশিয়ারার ৮টি পয়েন্ট বিপৎসীমার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন বানভাসি
মানুষ।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে দুপুর পর্যন্ত জেলার প্রায় চার
হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান
জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।