দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ রানে হেরে ক্রিকেট বিশ্বের মন
জয় করে নেয় নেপালিরা। দুদিন পর সেই সেন্ট ভিনসেন্টে গোর্খালিরা এবার বাংলাদেশকেও কাঁপিয়ে
দিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি রোহিত পাউডেল-সন্দিপ লামিচানরা। হার মানেন ২১ রানে।
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট টিশ্চিত করার পরিকল্পনা
নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারিয়ে সুপার এইটে যাওয়ার স্বপ্ন
ছিল নেদারল্যান্ডসেরও। যদিও লো-স্কোরিং ম্যাচে স্নায়ুচাপ জয় করে বাংলাদেশকে অনবদ্য
এক জয় এনে দেন বোলাররা। এই জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের। পরের ম্যাচটি
তাই হয়ে পড়ে গুরুত্বহীন। ওই ম্যাচে ডাচদের ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সিংহলিজরা।
বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে
হেরে সমালোচিত হয় বাংলাদেশ দল। যদিও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তিন জয়ে সুপার এইট পর্বে
খেলা নিশ্চিত হলো টাইগারদের। আজ নেপাল ম্যাচে ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক পেস বোলার
তানজিম হাসান সাকিব ম্যাচের পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেছেন, ‘আমরা সবকিছু স্বাভাবিকভাবে
নেয়ার চেষ্টা করছিলাম। ভয় না পেয়ে ঠিক জায়গায় বল ফেলতে চেয়েছি। এই স্কোর যে ডিফেন্ড
করা সম্ভব সেই বিশ্বাস আমাদের ছিল। প্রত্যেকেই ভালো বল করেছে। একটি ইউনিট হিসেবে আমরা
ভালো বোলিং করেছে বলেই এই রান ডিফেন্ড করতে পেরেছি।’
নিজের বোলিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগ্রাসী বোলিং করতে
চেয়েছি ও নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছি।’
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলতে
হবে বাংলাদেশকে। সুপার এইট নিয়ে আশাবাদী তানজিম বলেন, ‘সুপার এইট নিয়ে আমরা সত্যিই
শিহরিত। আমরা সুপার এইটে ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী এবং আশাকরি সেটা পারব।’