দক্ষিণ গাজায় সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

দীর্ঘ আট মাস ধরে চলমান ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ হাজার ২৬৬ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক। অপরদিকে ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের মোট হতাহতের সংখ্যা ১৪১০ জন।  এর মধ্যে ৭ অক্টোবরের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়, এবং আহত হয়েছেন ১২৭১ জন। বেশ কয়েকটি ব্যর্থ যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের একের পর এক বোমা হামলায় দিন দিন শোচনীয় হয়ে উঠছে ফিলিস্তিনিদের জীবন। 

জাতিসংঘ সতর্ক করছে যে গাজার ৫০ হাজার শিশুর অপুষ্টির জন্য জরুরি চিকিৎসা এবং মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি,  ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে বলেও জানিয়েছে তারা। 

গত প্রায় দেড় মাস ধরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। মে মাসের শুরুর দিকে যখন এই অভিযান শুরু হয়, সে সময় এতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই অভিযান চলছে রাফায়। 

শনিবার (১৫ জুন) গাজার প্রধান শহর গাজা সিটিসহ উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, রোববার (১৬ জুন) গাজা সিটির তিনটি পৃথক বাড়ি থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। এরা সবাই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় নিহত হয়েছেন।

এছাড়া এই দিন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা এবং গাজার সিটির শরণার্থী শিবিরেও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।

উল্লেখ্য, শনিবার (১৫ জুন) দক্ষিণ গাজায় অতর্কিত হামলায় আট ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাসের সামরিক শাখা।

এদিকে আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ স্থানীয় সময় অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। সেই হিসেবে  ফিলিস্তিনেও আজ ঈদ; তবে এই ঈদের সময়ও গাজা উপত্যকায় অভিযানে কোনো বিরতি দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।

উল্লেখ্য , গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরওে ২৪২ জনকে।জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা এখনও চলছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন