কুশিং সিনড্রোম

আক্রান্ত হয় শিশুরাও

ফিচার ডেস্ক

স্বাভাবিক শিশু (বায়ে), কুশিং সিনড্রোমে আক্রান্ত (ডানে) ছবি: সিএসআরএফ

কুশিং সিনড্রোম মূলত দুই ধরনের। অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির (গ্লুকোকর্টিকয়েড প্রধানত এখানেই উৎপাদিত হয়) টিউমারজনিত কারণে এবং পিটুইটারি গ্রন্থির অতিরিক্ত এসিটিএইচ উৎপাদন। অনেক সময় অস্বাভাবিক স্থান থেকে গ্লুকোকর্টিকয়েড তৈরি হয়ে কুশি সিনড্রোম হতে পারে।

কুশিং সিনড্রোম ছেলেদেরই বেশি আক্রান্ত করে। তবে অনেক ছেলেমেয়ে বিভিন্ন কারণে গ্লুকোকর্টিকয়েড সেবন করায় কুশিং সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়। 

কুশিং সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের যেসব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলো: ওজন বাড়তে থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়া, মুখের ত্বকে একটি লালাভ আভা থাকা, মুখে বা অন্যান্য জায়গার ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়া। ত্বকের কোনো জায়গায় সামান্য আঘাতে রক্তক্ষরণ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। পেটে, ঊরুর ভেতরের দিকে অথবা বাহুর ওপরের দিকে স্ট্রেচ মার্ক থাকতে পারে। মুখ বা শরীরের অন্যান্য জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে। মানসিক বা আচরণগত সমস্যাও দেখা দেয়। কারো কারো মাথাব্যথা হয়, মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা দেয় এবং অবসন্ন বোধ করে। উচ্চ রক্তচাপ থাকারও সম্ভাবনা আছে। এদের হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধি না হওয়াটা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকে। তবে অস্বাভাবিক স্থান থেকে এসিটিএইচ তৈরি হলে লক্ষণগুলো খুব দ্রুত দেখা দেয়।

শুরুতেই রোগী গ্লুকোকর্টিকয়েড (ইনজেকশন, ক্রিম, লোশন, স্প্রে বা ট্যাবলেট) সেবন করেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।

রোগ শনাক্ত করার পর চিকিৎসা প্রদানের আয়োজন করা হবে। যদি অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির টিউমার পাওয়া যায় এবং তা অপারেশন করে দূর করা যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করা সম্ভব হয় না। সেখানে বিভিন্ন রকম ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়, যদিও অনেক ক্ষেত্রে এর ফলাফল খুব বেশি আশাব্যঞ্জক নয়। পিটুইটারি টিউমার হলে এর অপারেশন করে বা রেডিওথেরাপি দিয়েও অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়।

সূত্র: বোস্টন চিলড্রেন্স হসপিটাল

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন