বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং

সাবেক ও বর্তমানদের চোখে বিএমই

ছবি : বণিক বার্তা

বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিষয়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানতে চান এ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এমন কোনো শিক্ষার্থী কিংবা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে পেশাজীবী হিসেবে কাজ করছেন এমন কারো অভিজ্ঞতার কথা। চলুন জেনে নিই একজন গ্র্যাজুয়েট ও চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়রত এক শিক্ষার্থীর বয়ানে তাদের একাডেমিক অভিজ্ঞতা। 

আমাকে সফল প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তুলেছে

রাফিয়া হাসনাত জিনিয়া

প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, বায়োএনক্লেভ

সাবেক শিক্ষার্থী, বিএমই, বুয়েট

দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিপুল সম্ভাবনা ধারণ করে। উদ্ভাবনী চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সহজতর হচ্ছে, যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারে। বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষাক্রম গবেষণা আমাকে আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করিয়েছে। বিভাগে শেখা প্রযুক্তি তত্ত্বগুলো প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্টে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে পেতে সহায়ক। ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন প্রজেক্ট সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা আমাকে জটিল বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করেছে। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সহযোগিতা নির্দেশনা আমাকে গবেষণামূলক কাজ পেশাগত নেটওয়ার্ক তৈরিতে সহায়তা করেছে। ডিপার্টমেন্টের ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আমি বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজতে শিখেছি। ফলে বিভিন্ন প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে আমি নিজেকে সৃজনশীল উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া আমাদের বিভাগ আন্তর্জাতিক স্তরের বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে এবং জয়লাভ করেছে, যা আমাদের বিভিন্ন বাস্তব জীবনের সমস্যার বিশ্বমানের সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে। এক কথায় বিএমই আমাকে একজন সফল প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তুলেছে এবং পেশাগত জীবনে অনন্য সাফল্য অর্জনে সহায়তা করেছে। বিভাগের শিক্ষা গ্রহণে আমি নিজেকে শুধু একজন পেশাজীবী হিসেবে নয়; বরং দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার একজন অংশীদার হিসেবে দেখতে পাই।


প্রকৌশল আর স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে সংযোগ করা শিখিয়েছে

তাহমিদ আহমেদ 

শিক্ষার্থী, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং

বিভাগ, বুয়েট

বুয়েটের অন্যতম নতুন একটা ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ক্লাসরুমের পরিবেশ। আর বিএমইর কোর্সগুলোয় অনেক ধরনের বিষয় ইনক্লুড করা আছে। তাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। প্র্যাকটিক্যাল সেশনগুলোয় হাতে-কলমে শেখার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি প্রজেক্টগুলো আমাকে প্রকৌশল আর স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে কীভাবে সংযোগ করা যায় তা শিখিয়েছে। আর কাজে ফ্যাকাল্টিদের অবদানের কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

বায়োম্যাটেরিয়ালসের ওপর আমার থিসিস করছি আমাদের বিভাগের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এখানে প্রজেক্ট বা থিসিসগুলোয় নতুনত্বের ওপর জোর দেয়া হয়। একই প্রজেক্ট বারবার না করে সেই প্রজেক্টটিকে আরো উন্নত করা যায় কীভাবে তার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। নতুন একটি ডিপার্টমেন্ট হিসেবে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক বিকশিত হয়েছে। বিভাগের ব্যতিক্রমধর্মী কোর্স কন্টেন্ট, উন্নত ল্যাব, শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ আর প্রাণবন্ত গবেষণা আমার ভবিষ্যৎ চালনা করার দক্ষতাকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন